দুই ওপেনারের ব্যাটেই ৩৬৫ রান। এরপর সেই দলের রান কোথায় গিয়ে দাঁড়াতে পারে একবার ভেবে দেখুন! তবে ওই ৩৬৫ রানের পর কিন্তু বল বাকি ছিল কেবল ১৬টি। সুতারং, বেশি হওয়ার কথা নয়।
তবুও ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক আয়ারল্যান্ডের সামনে জয়ের জন্য ৩৮২ রানের বিশার এক লক্ষ্য দাঁড় করিয়ে দিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
রেকর্ড গড়া ওপেনিং জুটির পর অবশ্য দুই ওপেনারের কেউ আর শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকতে পারেননি। সাই হোপ এবং জন ক্যাম্পবেল দু’জনই আউট হয়ে গেছেন। আউট হয়েছেন আরও একজন, অধিনায়ক জ্যাসন হোল্ডারও। অর্থ্যাৎ, বিনা উইকেটে ৩৬৫ রানের পর ৩ উইকেটে গিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেমেছে ৩৮১ রানে।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই বিধ্বংসী দুই ওপেনার সাই হোপ আর জন ক্যাম্পবেল। স্বাগতিক আইরিশরা যে কেন টস জিতে ফিল্ডিং নিতে গিয়েছিল, তা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে তারা।
সাই হোপ আর জন ক্যাম্পবেল মিলে ওপেনিং জুটিতে বিশ্ব রেকর্ড গড়ে ফেলেন। পাকিস্তানের ফাখর জামান আর ইমাম-উল হকের গড়া ৩০৪ রানের রেকর্ড ভেঙে তারা দু’জন পৌঁছে যান ৩৬৫ রানের চূড়ায়। মাঝ পথে ভাঙ্গেন শচীন টেন্ডুলকার-রাহুল দাব্রিড়ের ৩৩১ এবং সৌরভ গাঙ্গুলি আর রাহুল দ্রাবিড়ের ৩১৮ রানের জুটিও। যদিও ভারতীয়দের এই দুই জুটি ছিল দ্বিতীয় উইকেটে।
ক্রিস গেইল আর মারলন স্যামুয়েলসের গড়া ৩৭২ রানের বিশাল জুটিটি ভাঙা থেকে মাত্র ৭ রান দুরে থাকতেই বিচ্ছিন্ন হয়ে যান সাই হোপ আর জন ক্যাম্পবেল জুটি। ব্যারি ম্যাকার্থির করা ৪৮তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ছক্কা মারতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে বসেন জন ক্যাম্পবেল। মিড অফে দৌড়ে এসে আকাশে উঠে যাওয়া বলকে লুফে নেন উইলিয়াম পোর্টারফিল্ড।
ভেঙে যায় ৩৬৫ রানের এক অতিমানবীয় জুটির। ওয়ানডে ক্রিকেটের উদ্বোধনী উইকেট জুটিতে বিশ্বরেকর্ড গড়ার পর নিজেদেরকে কেবলই ছাড়িয়ে গেলেন তারা দু’জন। কিন্তু গেইল আর স্যামুয়েলসের ৩৭২ রানের বিশাল জুটিটিকে আর টেক্কা দিতে পারলেন না।
আউট হওয়ার সময় জন ক্যাম্পবেল ১৩৭ বল খেলে করেন ১৭৯ রান। ১৫টি বাউন্ডারির সঙ্গে তিনি ছক্কা মারেন ৬টি। জন ক্যাম্পবেলের স্ট্রাইক রেট ১৩০.৬৫ করে।
অসাধারণ এক জুটি গড়ে মাঠ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পথে গ্যালারিতে উপস্থিত সমর্থক থেকে শুরু করে দুই দলের খেলোয়াড় এবং কর্মকর্তারাও করতালি দিয়ে অভিনন্দন জানান জন ক্যাম্পবেলকে।
তিনি আউট হওয়ার পর অবশ্য তার সঙ্গী সাই হোপও টিকতে পারলেন না। আউট হয়ে গেলেন ১৭০ রান করে। তিনি আউট হন ৩৬৯ রানের মাথায়। ১৫২ বলে খেলা ইনিংসটি সাজানো ছিল ২২টি বাউন্ডারি আর ২টি ছক্কায়। ইনিংসের একেবারে শেষ বলে আউট হন জেসন হোল্ডার।