ঝালকাঠির নলছিটিতে এক মাহেদ্র চালকের বেপরোয়া গাড়ি চালানোর ফলে চিরতরে পঙ্গুত্ব বরণ করতে হয়েছে এক আনসার ব্যাটেলিয়ান সদস্যর। দুঘর্টনার শিকার আনসার সদস্য কবির হোসেন উপজেলার নাচনমহল ইউনিয়নের গবিন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা ও বরিশাল আনসার ব্যাটেলিয়ানের কমান্ডার। এঘটনায় (১৬ মে) অভিযুক্ত মাহেন্দ্র চালক মনির হোসেনের শাস্তির দাবিতে পঙ্গুত্ববরণকারী কবির হোসেনের স্ত্রী আসমা বেগম বাদী হয়ে নলছিটি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। চালক মনির হোসেন উপজেলার তালতলা এলাকার বাসিন্দা। অভিযোগ পেয়ে ওই চালককে খুঁজে বের করতে তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে পুলিশ।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ০৪ মে সকালে আনসার কমান্ডার কবির হোসেন নলছিটি পীর মোয়াজ্জেম সড়ক থেকে চালক মনিরের মাহেন্দ্র গাড়িতে (বরিশাল মেট্রো থ ১১ ০০৭৪) যাত্রী হিসেবে বরিশাল তার কর্মস্থলে যাচ্ছিল। নলছিটি থেকে গাড়ি ছাড়ার পর থেকেই মনির খুব তারাহুড়ো করে দ্রুত গতিতে গাড়ি চালাচ্ছিলো। গাড়িতে থাকা কবির হোসেনসহ অন্য যাত্রীরা বারবার তাকে গতি কমিয়ে চালানোর পরামর্শ দিলেও তাতে তিনি কর্ণপাত করেননি। গাড়িটি বরিশাল-পটুয়াখালি আঞ্চলিক মহাসড়কের তুর্য ফিলিং স্ট্রেশনের সামনে পৌছাঁলে অপর দিক থেকে একটি দ্রুত গাতির পরিবহন আসায় চালক মনির মাহেন্দ্রার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। মুর্হুতেই মাহেন্দ্রাটি পাশের বেড়িবাঁধে ধাক্কা খেয়ে উল্টে যায়। এতে গাড়িতে থাকা কবির হোসেনসহ বেশ কয়েকজন যাত্রী আহত হয়। দুঘর্টনায় কবির হোসেনের বাম পায়ে গুরুত্বর জখম হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে কয়েকদিন চিকিৎসার পর ডাক্তারের পরামর্শে তার বাম পা কেটে ফেলতে হয়। চিরতরে পঙ্গু হয়ে যান তিনি। কিন্তু দুঘর্টনার পর ঘটনাস্থল থেকে কৌঁশলে চালক মনির পালিয়ে গিয়ে গা ঢাকা দেয়।
এ বিষয় থানায় অভিযোগ দাখিলকারী ও আহত কবির হোসনের স্ত্রী আসমা বেগম জানান, বেপরোয়া মাহেন্দ্রা চালক মনিরের জন্য আজ আমার স্বামী পঙ্গু হল, আমি মনিরের শাস্তি চাই। হঠ্যৎ সংসারের একমাত্র উর্পাজনক্ষম মানুষটা এমন অবস্থা হলো সন্তানদের নিয়ে এখন আমাদের না খেয়ে দিনপাত করা ছাড়া উপায় নেই।