বাবুগঞ্জ (বরিশাল) প্রতিনিধি:
বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলায় বিউটি পার্লারের আড়ালে চলছে রমরমা দেহব্যবসা। যার ফলে স্থানীয় যুব সমাজসহ স্কুল, কলেজগামী শিক্ষার্থীরা ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে এসে দাড়িয়েছে । উপজেলা প্রশাসনের নাকের ডগায় উপজেলা চত্ত্বর সংলগ্ন বেনামী একটি বিউটি পার্লার ব্যবসার আড়ালে দীর্ঘদিন যাবৎ চলছে এ অনৈতিক কার্যকলাপ। বুধবার রাতে সাড়ে এগারটার দিকে বিউটি পার্লারের মালিক পপি আক্তার (২৭)কে খরিদ্দার পাশের দোকান মালিক সোহান (২৭)কে সহ হাতেনাতে আটক করে এলাকার জাফর আকন, আবদুল বারেক আকন, আলমগীর হোসেন খান, রফিকুল ইসলাম খান, মনির হোসেন খান, আসলাম খান, ওমর ফারুক, রোকেয়া বেগম, তাসলিমা আক্তার, রেশমা আক্তার, সালমা আক্তার, নুরভানু বেগমসহ দুইশতাধিক নারীপুরুষ।
খরিদ্দার সোহান একই উপজেলার খানপুরা গ্রামের আবদুল হালিমের ছেলে। একাধিক বিবাহ বন্ধন আর বিচ্ছেদের সমীকরনের খেলায় মত্ত, বিউটি পার্লারের মালিক পপি আক্তারও খানপুরা গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য সুলতান আহম্মেদের মেয়ে। দিনের বেলায় মৃদু আলোর ছোয়ায় বিউটি পার্লারে আর রাতের আধারে বিউটি পার্লারের সন্নিকটে সুলতান আহম্মেদের বাসায় খরিদ্দার নিয়ে এসে অবাধে মিনি পতিতালয় বানিয়ে রমরমা দেহব্যবসা চালিয়ে নেওয়াটা যেন এই ব্যবসার নতুন একটি মাত্রায় যোগ হয়েছে ।
স্থানীয় প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতার অবৈধ প্রভাবসহ নানা ফাঁকফোকর ব্যবহার করে পপি আক্তার খরিদ্দারদের নিয়েই একটি আধুনিক ব্যবসা দাড় করিয়েছে, নির্দ্বিধায় চালিয়ে যাচ্ছে ভদ্র সমাজে রমরমা পতিতা ব্যবসা । আর এই পতিতালয়ের ভোক্তারা হচ্ছে স্থানীয় যুবক, স্কুল কলেজগামী শিক্ষার্থীসহ ভদ্র পরিবারের সন্তানেরা। যারা সম্পূর্ণ নিরাপদে, নির্ভয়ে মিটাচ্ছেন তাদের যৌন ক্ষুধা।
পপি আক্তার বলেন, আমার ৬ বছরের ছেলে আকিল রাতে দরজা খুলে প্রসাব করতে গিয়েছিল, তখন সোহান এসে আমাদের ঘরে ঘুমিয়ে থাকে। স্থানীয় লোকজনের সাথে দীর্ঘদিনের শত্রুতা থাকায় তারা এসব কান্ড ঘটিয়েছে। পপি আক্তারের বাবা সুলতান আহম্মেদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমি আমার মেয়েকে কোন কথা শুনিয়ে রাখতে পারি না, সে তার ইচ্ছা মতো চলে।
এলাকার একাধিক নারী পুরুষ জানান, বিউটি পার্লারের মালিক পপি আক্তার ওয়াকর্স পার্টির নেতা গোলাম হোসেনের আত্মীয় হওয়ায় বেপরোয়া, কেউ প্রতিবাদ করলে তাকে হামলা মামলা হয়রানীর শিকার হতে হয়। স্থানীয় যুবক, স্কুল কলেজগামী শিক্ষার্থীদের বিপদগামী পথ থেকে ফেরাতে অতিদ্রুত দেহব্যবসা বন্ধ করতে উপজেলা প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন এলাকাবাসী।