শেখ সুমন:
কাশিপুর থেকে রসুলপুর,রূপাতলি থেকে তালতলি,পলাশপূর থেকে মহম্মদপুর প্রত্যেকটি যায়গায় সাধারণ মানুষের বিপদে আপদে ছুটে যাচ্ছেন সাধারণ মানুষের পাশে।আগুনে ক্ষতি গ্রস্থ হলে,অসুস্থ হলে সব যায়গায় পৌছে যান মানব প্রেমি এই মানুষটি। শুধু তাই নয়, মাদ্রাসার ছাত্রদের সাথে সময় কাটানো,বৃদ্ধাশ্রমে বাবা মায়েদের সাথে খাবার খাওয়া ,পথ শিশুদের সাথে খেলা করা এভাবেই মানুষের সাথে মিশে থাকতে পছন্দ করেন সাদিক আব্দুল্লাহ।
জীবে প্রেম করে যেই জন,সে জন সেবিছে ঈশ্বর।মানব জাতীকে ভালো বাসার মধ্যে পরম শান্তি।সবাই মানুষের ভালবাসা পেতে পারে না।মানুষের ভালোবাসা পেতে হলে মানুষকে ভালবাসতে হয়। আর সেই মানব জাতীকে ভালবাসতে পারে যার মন ভালো । সেরকমই একজন মানুষ যুবরত্ন সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ।
বরিশালবাসী যাকে নিজেদের সন্তান,ভাই বা পরম আত্মীয়ের চোখে দেখে ।যাকে আত্মার বন্ধনে বেধে রেখেছে সবাই।কে এই সাদিক আব্দুল্লাহ ?
দক্ষিণবঙ্গের রাজনৈতিক অভিভাবক,আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় নেতা, পার্বত্য শান্তি চুক্তির রূপকার,মাননীয় মন্ত্রী জনাব আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর বড় পুত্র ,বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ বরিশাল মহানগরীর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক যুবরত্ন সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ।ইতোমধ্যে নামটির খ্যাতি বরিশাল’র পাড়া-মহল্লা, নগর ছাড়িয়ে এখন দেশও সমধিক উচ্চারিত।
২০১৪ সালে শওকত হোসেন হিরণের মৃত্যুর পর বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে উত্থান ঘটে দক্ষিণবঙ্গের রাজনৈতিক অভিভাবক আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ’র বড় ছেলে কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ। এর পর ২০১৬ সালের নভেম্বর মাসে মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ন-সাধারন সম্পাদক।বেশ কয়েক বছর ধরে টালমাটাল বরিশাল আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের ঐক্যের বাধনে গেঁথেছেন সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ। সাদিক আবদুল্লাহর নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ আওয়ামীলীগ যে কোন সময়ের চেয়ে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী।
বর্তমানে বরিশালের রাজনীতিতে ইতিহাস সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ।সাদিক সবার কথা শোনেন, সাধ্যমতো সহযোগিতা করেন। বিয়ের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন থেকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের উদ্বোধন কিছুতেই বাদ পড়ছেন না সাদিকের। তাকে ছাড়া যেন নগরবাসীর কোনো অনুষ্ঠানই পূর্ণতা পায় না। সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকান্ড ,শেষে মধ্যরাতে যখন সাদিক ফেরেন তখনো মানুষের আনাগোনা থাকে নগরীর কালীবাড়িস্থ বাসায়।
মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ন-সাধারন সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর এখন সকাল-সন্ধ্যা কাটে সাধারণ মানুষকে নিয়ে। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর বাসার নিচতলার ড্রইংরুমে দেখতে পান অপেক্ষমাণ মানুষের জটলা। কেউ এসেছেন সমস্যা নিয়ে, আবার কেউ বিচারপ্রার্থী হতে।
বরিশালের রাজনীতিবিদরা মনে করেন যাদের জীবন শুধু সংগ্রামের, ত্যাগের, যারা দিতে জানে বিনিময়ে কিছু নিতে জানে না প্রকৃত অর্থে তারাই মানুষ। যাদের অনুসরণ করলে প্রকৃত মানুষ হওয় যায়। সে রকম একজন সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ বরিশালের বর্তমানে খ্যাতিমান রাজনীতিবিদ। নানা ঝড়ঝাপ্টার মাঝেও দলীয় আদর্শে তিনি অবিচল থাকেন। তাইতো দলীয় নেতা কর্মীদের নিকট হয়ে উঠেন বড় অবলম্বন। নগরভবন ঠিকানা না হলেও বর্তমানে মহানগরীর মানুষ এখন তাকে ‘ভবিষৎ মেয়র’ বলেই সম্বোধন করে। সুখে-দুঃখে, আপদে-বিপদে ছুটে যায় তার কাছে। সাদিকও নিরাশ করেন না বিপদে পড়া তার প্রিয় নগরবাসীকে।
মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাড. গোলাম আব্বাস চৌধুরী দুলাল দ্ব্যর্থহীন কন্ঠে বলেন বর্তমান সময়ে মহানগর আওয়ামী লীগ যে কোন সময়ের চেয়ে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী। এর কারন সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর অক্লান্ত পরিশ্রম আর মেধা।
যুবরত্ন সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ বলেন, আমি রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। আমার দাদা, বাবা সবাই বরিশালের মাটিতে রাজনীতি করেছে। আমিও তাদের বাইরে নই। আমি কোন কুট রাজনীতি বুঝি না। ওই রাজনীতি করতেও চাই না। দেশ ও বরিশালের উন্নয়নের জন্য কোন কাজই আমি ভয় পাই না। আমি জনগনের মাঝেই থাকতে চাই। জনগনের শ্রদ্ধা-ভালোবাসা নিয়েই রাজনীতিতে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই। মানুষের ভালোবাসাকে জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জন মেনে নিয়ে বাকি জীবন কাটিয়ে দিতে চাই মানুষের কল্যাণে, দলের কল্যাণে।