শহরের অলিগলি থেকে প্রধান সড়ক সর্বত্র শত শত মানুষের জমায়েত। কোথাও শারীরিক দূরত্ব মানা হচ্ছে না। শহরের বিভিন্ন বাজার, দোকান এবং শপিংমলগুলোতে মানুষের জমায়েত সব থেকে বেশি, কোথাও যেন তিল ধারণের ঠাই নেই। একদিকে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি অপরদিকে তীব্র তাপদাহ। এর মধ্যেও মানুষ ঘরে থাকছে না। ফলে সারাদেশের মতো এই জেলাতেও করোনাভাইরাসের বিস্তার বেড়ে যাওয়ার শঙ্কায় আছেন চিকিৎসকরা।
রোববার (১৭ মে) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত শহরের সদর রোড, নতুন বাজার, নিউ মার্কেট এবং পুরান বাজার এলকা ঘুরে দেখা যায়, বাজারে কেনাকাটা করতে আসা মানুষের উপচে পড়া ভিড়। এর মধ্যে নারী ও শিশুদের সংখ্যাই বেশি। প্রতিটি দোকানে ১০ থেকে ১৫ জন ক্রেতা গাদাগাদি করে অবস্থান করছেন। সেই সাথে বিক্রেতারাও সারি বেঁধে দাঁড়িয়ে বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করছেন।
সব থেকে খারাপ অবস্থা শহরের ব্যাংকগুলোতে। প্রতিটি ব্যাংকেই মানুষের দীর্ঘ লাইন। দ্রুত কাজ সারতে সবাই গাদাগাদি করে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। এতে করে শারীরিক দূরত্ব তো দূরের কথা একজনের ঘামে অরেকজন মাখামাখি অবস্থা।
এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে পটুয়াখালী শহরেরও করোনা সংক্রমণ মারাত্মকভাবে বাড়তে পারে বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। পটুয়াখালীর সিভিল সার্জন ডা: জাহাঙ্গীর আলম সিপন বলেন, পাশ্ববর্তী জেলা শহরগুলো থেকে পটুয়াখালী জেলায় করোনা আক্রান্তের হার কিছুটা কম। তবে মানুষ যে ভাবে ঘর থেকে বাহির হচ্ছে, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘোরাঘুরি করছে এতে করে করোনার ঝুঁকি রয়েছে। সবার প্রতি অনুরোধ একেবারে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া আর কয়েকটা দিন ঘরে অবস্থান করুন।
পটুয়াখালী জেলায় এ পর্যন্ত মোট ৩১ জন করেনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মারা গেছেন তিনজন। বাকিদের অনেকেই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। তবে সামজিক দূরত্ব এবং সরকারি নির্দেশনা পালনে বাধ্য করতে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসনের কয়েকটি ভ্রাম্যমাণ আদালতের পাশাপাশি র্যাব ও পুলিশের বেশ কয়েকটি টিম মাঠে কাজ করছে বলেও জানান সংশ্লিষ্টরা।
