পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার সদর ইউনিয়নের কাঁচাবাজার-নলখোলার পুরাতন ব্রিজটি এখন মরণফাঁদে পরিনত হয়েছে। মানুষ প্রতিনিয়তই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে ব্রিজের উপর দিয়ে। দীর্ঘ ২৮ বছর ধরে ব্রিজটিতে বড় ধরনের কোন মেরামত না করায় আয়রণ ব্রিজটি এ অবস্থায় দাড়িয়েছে। বর্তমানে এ আয়রন ব্রিজটি এখন বিধ্বস্ত হয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলা সদরের কাচাবাজার-নলখোলা বন্দরে ব্যবসায়ী, ক্রেতা ও পথচারীদের পারপারের একমাত্র মাধ্যমই এই আয়রন ব্রিজ। এ অবস্থায় বাজারে আসা ক্রেতা-বিক্রেতাদের একমাত্র চলাচলের মাধ্যম এই আয়রন ব্রিজটিতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষ মোটর সাইকেল ও রিকশা পার করলেও পারছে না কোন ভাড়ী কোন যানবাহন তুলতে। এ কারনে অসুস্থ রোগীদের পরতে হয় চরম বিপদে।
বর্তমানে উপজেলার এ ব্যস্ততম ব্রিজটি মাঝখান থেকে হেলে ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। আবার লোহার পাথগুলো মরিচা ধরে ক্ষয়ে যাচ্ছে ও বাকা হয়ে আছে। কিছু পাত ভাঙ্গেও গেছে। বিজ্রের মাঝখানে কংক্রিঠের স্লিপার খুলে পড়ে গেছে। ব্রিজটিতে এই জীর্ণদশার কারনে যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। তাই এখানকার স্থানীয়রা আয়রন ব্রিজটি ভেঙে নতুন করে একটি ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, স্থানীয় সরকার উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থায়নে আয়রন ব্রিজটি দশমিনা সদর-নলখোলা খালের ওপর ১৯৯০-৯১ ইং সালে নির্মাণ করা হয়।
বর্তামানে বিজ্রটি ভেঙে গছে, তাই অতি তারাতারি নতুন একটি আর.সি.সি ঢালাই ব্রিজ নির্মান করার জন্য কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি সহ জের দাবী জানাচ্ছে এলাকাবাসী।