তেঁতুলিয়ার পাড় ঘেঁষে বাহারি রংয়ের সিসি ব্লক, ছোট-বড় বেঞ্চ ও ছাউনি। চারদিকে সবুজে ঘেরা বৃক্ষরাজি আর পাখিদের কলকাকলি। নদীর ঢেউ, নির্মল বাতাস আর সূর্যাস্ত দেখার দৃশ্য- এ নিয়েই যেনো পর্যটকদের হাতছানি দেয় তোফায়েল উদ্যান।
ভোলা সদরের দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের কোড়ালিয়া গ্রামের গাড়িঘাটা নামে এলাকায় পর্যটনের এক নতুন দিগন্ত সৃষ্টি করে চলছে তোফায়েল উদ্যান।
সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী ও ভোলা সদর আসনের সংসদ সদস্য তোফায়েল আহমদের গ্রামের বাড়ির পেছনের অংশের তেঁতুলিয়া পাড়ে অবস্থিত এই উদ্যান। তার নামেই প্রতিষ্ঠা করা হয় এ পর্যটন কেন্দ্রটি।
ভোলার অন্যতম একটি দর্শনীয় স্থান এ তোফায়েল উদ্যান। তেঁতুলিয়া বাঁধকে নানারুপে সাজিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে দর্শনীয় স্থানে। যা এখন মন কাড়ে পর্যটকদের। ছুটির দিনসহ বিভিন্ন উৎসবে দর্শনার্থীদের ভিড়ে মুখরিত হয়ে ওঠে এ উদ্যান। ঈদের ছুটিতেও পর্যটকদের ঢল নেমেছে এখানে।
প্রকৃতির অপার সৌন্দয্যের লীলাভূমি তোফায়েল উদ্যানে বসে সময় কাটায় বহু মানুষ। এখানে বসেই পড়ন্ত বিকেলের নয়নাভিরাম দৃশ্য উপভোগ করেন দর্শনার্থীরা। সূর্য যখন নদীর বুকে ছায়া ফেলে, তখন নদীর রং যেনো পাল্টিয়ে ভিন্ন রকম এক অনুভূতি সৃষ্টি করে। এখানে বসেই দেখা যায় সূর্যাস্ত। বিশেষ করে সন্ধ্যার আকাশ লালিমায় ভরে যাওয়ার দৃশ্য অনেক আকর্ষণীয় হয়ে উঠে। নদীর ঢেউ আর নির্মল বাতাসে বসেই জমিয়ে আড্ডা, সেলফি তোলা, গান গাওয়া আর পরিবার-পরিজন নিয়ে ঘুরতে আসার নিরাপদ স্থান এখানে। ঘুরতে আসা কয়েকজন দর্শনার্থী জানান, আগে এ স্থানটির নাম শুনেছি, কিন্তু কখনও আসা হয়নি। আজ এসেই আমরা মুগ্ধ। বাঁধের উপর দাঁড়িয়ে দূরের আকাশ, নদীর জোয়ার-ভাটা আর প্রকৃতির অপরুপ সৌন্দর্য্য উপভোগ করা যায়। সব মিলিয়ে একটি ভালো লাগার স্থান তোফায়েল উদ্যান।
স্থানীয়রা জানায়, শুধু উৎসব আর বন্ধের দিন নয়, প্রতিদিন বিকাল হলেই দূর-দূরান্ত থেকে এ উদ্যানে ছুটে আসেন পর্যটকরা। তবে বিশেষ দিনগুলোতে পর্যটকদের ঢল নামে এখানে। পুরো উদ্যানজুড়ে লাইটিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে। ইতোমধ্যেই ভ্রমণ পিপাসুদের প্রিয় স্থান হিসেবেই মন জয় করেছে এ উদ্যান।
পর্যটন জেলা ভোলায় যে কয়টি দর্শনীয় স্থান রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম তোফায়েল উদ্যান। এখানে পরিবার-পরিজন কিংবা বন্ধু-বান্ধব নিয়েই ঘুরতে আসেন মানুষ। ভিড় দেখা যায় তরুণ-তরুণীসহ বিভিন্ন বয়স আর শ্রেণি-পেশার মানুষের। পর্যটনের নতুন দিগন্তই হলো এ তোফায়েল উদ্যান