নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা দুই উপজেলার হাজার হাজার মানুষের ঈদ ও ঈদ পরবর্তি পুনর্মিলনী কেন্দ্র হিসেবে সেতু বন্ধন করে দিয়েছে মনোমুগ্ধকর পরিবেশের পয়সারহাট ব্রিজ। উপজেলা সদরের পশ্চিম এলাকায় সন্ধ্যা নদীর উপর নির্মিত এ ব্রিজটিতে সকাল থেকে মধ্য রাত পর্যন্ত শিশু থেকে বৃদ্ধ সকল বয়সীদের পদচারনায় মুখর ছিল বরিশালের আগৈলঝাড়ার পয়সারহাট ব্রিজটিতে।
আগৈলঝাড়া উপজেলার পশ্চিম সীমান্ত আর কোটালীপাড়া উপজেলার পূর্বপ্রান্তে অবস্থিত এ ব্রিজটিতে ঈদুল ফিতরে বাড়ি আসা এই দুই উপজেলার ভ্রমন পিপাসুদের কাছে ছিল একমাত্র বিনোদন কেন্দ্র। স্থানীয়ভাবে চিত্ত বিনোদনের কোন সুযোগ ও পরিবেশ না থাকায় বিশেষ করে শিশুদের বিনোদনের জন্য পরিবারের সদস্যরা তাদের ছেলে মেয়েদের ইচ্ছে পুরণের জন্য এক বারের জন্য হলেও উপভোগ করেছেন পয়সারহাট ব্রিজ।
পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করায় সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর লোক সমাগম ছিল লক্ষনীয়। ব্রিজটিতে সকল বয়সী নারী-পুরুষের মিলন মেলায় শহুরে জীবনের যে কোন পার্কের চেয়ে এটি ছিল অনেকের কাছেই আকর্ষণীয় উপভোগ্য একটি স্থান। এখানে প্রেমিক জুটির রোমাঞ্চ, শিশু থেকে বৃদ্ধ বাবা মাকে নিয়ে কাটিয়েছেন তাদের সন্তানেরা।
প্রকৃতির শোভা উপভোগ করে সকাল ও বিকেল গড়িয়ে গভীর রাত পর্যন্ত সময় কাটানোর সকল উপাদান রয়েছে এখানে। প্রকৃতির নির্মল বাতাস, খোলা আকাশে মেঘের ভেলায় আতœহারা হয়ে ভেসে চলেছেন যে যার স্বপ্নের গন্তব্যে। ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে অন্যান্য দিনের চেয়ে ব্রিজ ও আশপাশের এলাকায় হরেক রকমের পশরা সাজিয়ে বসেছিল দোকানীরা। পর্যটনের সকল সুবিধা না থাকলেও আনন্দ উপভোগের কমতি ছিলনা তাদের আগত ভ্রমন পিপাসুদের। বিশেষ কোন দিন ছাড়াও এই ব্রিজে প্রতিদিন বিকেলে বিভিন্ন বয়সের নারী পুরুষেরা নির্মল বাতাসে ভ্রমন করেন।