অনলাইন ডেস্ক:
এই দায়ের কোপ – বরগুনায়র রিফাত শরীফের বিচারের দাবিতে পাশে থাকার অঙ্গীকার করেছেন ব্যারিস্টার সাইয়েদুল হক সুমন। তিনি মনে করেন, রিফাতের ওপর যে দায়ের কোপ সন্ত্রাসীরা বসিয়েছেন, সেই কোপ সবার জন্য অপেক্ষা করছে। গতকাল বুধবার সকালে স্ত্রীর সামনেই রিফাতকে করে সন্ত্রাসীরা।
আজ বৃহস্পতিবার রাতে নিজের ফেসবুক পাতায় দেওয়া এক স্ট্যাটাসে সুমন লেখেন, ‘এই দায়ের কোপ শুধু রিফাত নয়, আমাদের সবার জন্য অপেক্ষা করছে। যদি এখনই এর প্রতিবাদ এবং প্রতিরোধ না করি তবে অনেক দেরী হয়ে যাবে। আমি আছি, থাকব। আপনারাও থাকুন।’
গতকাল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে প্রকাশ্যে স্ত্রীর সামনেই রিফাত শরীফকে জখম করেন স্থানীয় নয়ন বন্ড ও তার সহযোগীরা। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে বরগুনা সদর হাসপাতাল ও শেবাচিম হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে বিকেল ৪টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রিফাতের মৃত্যু হয়।
এদিকে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ১২ জনকে আসামি করে রিফাতের বাবা বুধবার রাতেই বরগুনা সদর থানায় মামলা করেন। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার ভোরে পুলিশ চন্দন নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বরগুনা সদর উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের নিজ বাড়িতে জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। রিফাত শরীফের জানাজায় নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের ঢল নামে।
এর আগে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রিফাতের মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। পরে মরদেহ নিয়ে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বরগুনার নিজ বাড়িতে পৌঁছায় একটি অ্যাম্বুলেন্স। অ্যাম্বুলেন্স বাড়িতে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে ওঠে পরিবেশ।
জানাজায় ইমামতি করেন বরগুনা কামিল (মডেল) মাদরাসা জামে মসজিদের ইমাম ক্বারী মো. সোলায়মান।
জানাজায় উপস্থিত সবার কাছে রিফাতের পক্ষ থেকে ক্ষমা প্রর্থনা করেন রিফাতের বাবা মো. দুলাল শরীফ এবং চাচা আজিজ শরীফ। এ সময় তারা রিফাতের রুহের মাগফেরাত কামনার জন্য সবার কাছে দোয়া চান।
জানাজার আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ছিদ্দিকুর রহমান প্রমুখ। তারা নিহত রিফাতের হত্যাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানান এবং তাদের যে কোনো সহযোগিতার আশ্বাস দেন।