বরিশালে ছাত্র রাজনীতির মধ্যে একজন অন্যতম ছাত্রনেতা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সুমন সেরনিয়াবাত। শিক্ষার রাজনীতি করাই সুমন সেরনিয়াত’র কাজ। যিনি ছাত্র হলেও শিক্ষার মান ছাড়েননি। ছাড়েনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ। রাজনীতিতে পা অনেকদিন থাকলেও সুষ্ঠ রাজনীতি করাই তার পছন্দ। বর্তমান পেক্ষাপটে দেখাগেছে রাজনীতি করে অনেকেই কোটি পতি হয়েছেন। পদ পদবী পাওয়া মানেই ক্ষমতার দাপট। বরিশাল জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সুমন সেরনিয়াবাত এমন একজন নেতা যার ইমেইজ স্কীন একদম খাটি। কোন মারামারি, খুনাখুনি, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, হত্যা, সন্ত্রাসবাজির কর্মকান্ডে তার নাম নেই। সুধু ছাত্রলীগ নয় তাকে ভালবাসেন সকল শ্রেনী ও পেশার মানুষ। বিএনপি, জাতীয় পার্টি, ন্যাশন্যাল পিপলস পার্টির সবাই বলেন সুমনের রাজনীতিতে কোন খুদ নেই। সুমনের মতন ছেলে হয়না। ক্ষমতাসীন দল ছাত্রলীগের সভাপতি পদ পেয়েও তার মনে কোন অহঙ্কার টেন্ডারবাজীসহ কোন দুর্নিতি করার চিন্তা উঠেনি। শিক্ষা-শান্তি-প্রগতি কে মূলনীতি করেই তৈরি করা হয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র। কিন্তু কখনো কখনো কিছু বিপথগামী লোক তাদের ব্যক্তি স্বার্থে ছাত্রসমাজের প্রিয় সংগঠন ছাত্রলীগের নাম ব্যবহার করে তাদের নিজ প্রয়োজন গুলো মিটিয়ে নিচ্ছে, কলুষিত করছে ছাত্রলীগকে। এর মাঝেও কখনো কখনো এমন কিছু ছাত্রনেতাদের খুজে পাওয়া যায়, যাদের কথা না বললেই নয়। তেমন এক ব্যক্তিত্ব হল বরিশাল জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সুমন সেরনিয়াবাত। যিনি বরিশাল জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির মত একটা আসনে অধিষ্ঠিত হয়েও তার পুরো রাজনৈতিক জীবনে কোন কালো দাগ লাগাননি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে লালন করে পথগুলো পাড়ি দিয়েছেন তিনি। সারাদেশে যখন ক্ষমতার তান্ডব, নামের সাথে কোন একটা পদবি লাগিয়েই অধিপত্য বিস্তার করে চলছে, কালো টাকার ধান্দায় মাতোয়ারা হয়ে উঠেছে অনেকেই, ঠিক তখনও সুমন সেরনিয়াবাতকে দেখা যাচ্ছে এক সহজ সরল অনাড়ম্বর জীবন যাপন করতে। তার রাজনৈতিক জীবনের পুরো সময়টাই ছাত্ররাজনীতির রোল মডেল। তিনি তার আদর্শকে বুকে লালন করে আর পাঁচ জন সাধারণ মানুষের মত জীবন অতিবাহিত করে চলেছেন। তার অনেক গুলো গুনের মাঝে একটা গুন হল কখনো অন্যায়কে প্রশ্রয় দেন না, নিজ কর্মীদেরও অন্যায় থেকে বিরত রেখে সর্বদা সঠিক পথে পরিচালিত করার চেস্টা করেন। বরিশাল সরকারী সৈয়দ হাতেম আলী কলেজ এর সাধারন সম্পাদক দায়িত্ব পালন করেন। দক্ষতা ও নিষ্ঠার সাথে দায়ীত্ব পালন করায় পরবর্তীতে তাকে সরাসরি বরিশাল জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির মত গুরুত্বপূর্ন দায়ীত্ব অর্পন করা হয়। ভদ্র রাজনীতি করেও যে ভাল অবস্থান অর্জন করা যায় এবং মানুষ যে তার যোগ্যতা অনুযায়ী মূল্যায়িত হয় তার বড় দৃষ্টান্ত সুমন সেরনিয়াবাত। বরিশাল শহরের শিক্ষক সমাজের কাছেও এক প্রিয় মানুষ সুমন সেরনিয়াবাত। ক্ষমতার দাপটে টাকার মালিক হওয়া যায়, সামনাসামনি মানুষের বাহবা পাওয়া যায়, কিন্তু সাধারন মানুষ বা শিক্ষকসমাজের চোখে আদর্শ মানুষ হওয়া যায় না। আর আপনার কাছে যদি সাধারণ মানুষ নিরাপদ না থাকে আপনার কাছ থেকে ভালবাসা না পায় তাহলে আপনি কিসের নেতা? যেখানে রাজনীতির মূল অর্থ হচ্ছে দেশ সেবা করা, দেশের মানুষের সেবা করা, সেখানে আজকের প্রত্যেক নেতারা কি রাজনীতি নামক কথাটার মূল্য রাখছেন? সুমন সেরনিয়াবাত কিন্তু প্রকৃত রাজনীতিই করছেন। সারাদেশের প্রতিটি ছাত্রলীগ নেতা যদি সুমন সেরনিয়াবাত এর মত আদর্শ নেতা হত, আদর্শ ছাত্রলীগ নেতা হয়ে রাজনীতির মূল মন্ত্র ঠিক রাখত তাহলে বাংলাদেশের আবহমান অবস্থা আর সূদৃঢ় হত। রাজনীতি থেকে কালো পর্দা উঠে যেত, উন্নত হত সমগ্র বাংলাদেশের রাজনীতি। দেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে যদি একজন সুমন সেরনিয়াবাত থাকতো তাহলে দেশের কোন মানুষ আর অপরাজনীতি করতে পারতো না। ফিরে আসতো সুষ্ঠ ধারার রাজনীতি। এমন একজন সুমন কি দেশের প্রতিটি ঘরে তৈরি হতে পারেনা ? পারেনা সুমনের রাজনৈতিক আদর্শ ধারন করে সকল ছাত্রনেতারা শিক্ষা গ্রহন করতে ?