রবিবার (১৬ জুন) দুপুরে সিলেটের গোলাপগঞ্জ নূর ম্যানশন এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় একটি প্রাইভেটকারসহ মো. নায়েব আলীকে (৪২) আটক করেছে পুলিশ। টাকা নিয়ে পালাতে সক্ষম হন আরও দুজন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র এসব নিশ্চিত করেছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্র আরও জানায়, ওই তিনজনের মধ্যে এক যুবক অন্যজনকে দেখিয়ে বলেন, ‘খালা তিনি কিন্তু পীর সাহেবের ছেলে। আপনার টাকা ছুঁয়ে দিলে বরকত হবে।’ এমন কথা শুনে ওই নারী ব্যাংক থেকে উত্তোলন করা টাকা ভ্যানিটি ব্যাগের চেইন খুলে অজ্ঞাত যুবকের দিকে এগিয়ে দেন। ওই যুবকরা ব্যাগ থেকে টাকা নিয়ে প্রাইভেটকারে করে সটকে পড়েন। এতে হতভম্ব হন মায়া বেগম। পরে ছিনতাইয়ের বিষয়টি তিনি চিৎকার দিয়ে আশপাশের মানুষজনকে অবহিত করেন।
মোবাইলে আশপাশের এলাকার লোকজনকে প্রাইভেটকারটি আটক করতে খবর পাঠানো হয়। খবর পেয়ে আশপাশের এলাকার মানুষ সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কের ফুলবাড়ী ইউনিয়ন কার্যালয়ের সামনের সড়কে কয়েকটি ডালপালা দিয়ে পথরোধ করে রাখেন। এ সময় প্রাইভেটকারটি ব্যারিকেড ভেঙে পালিয়ে যায়। পরে গোলাপগঞ্জের হেতিমগঞ্জ বাজারের পশ্চিমে ফের পথ রোধ করে প্রাইভেট কারটি আটক করেন স্থানীয় লোকজন। তখন প্রাইভেট কারে থাকা দুজন পালিয়ে যান। এ সময় ছিনতাইকারীদের ব্যবহৃত প্রাইভেট কারসহ চালক নায়েব আলীকে আটক করে স্থানীয় লোকজন। তবে ছিনতাই করা টাকা উদ্ধার করা যায়নি। আটকের পর নায়েব আলীকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
গোলাপগঞ্জ থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান জানান, অভিনব কায়দায় ছিনতাইয়ের ঘটায় প্রাইভেট কারসহ একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে ছিনতাইয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আরও দুজন পালিয়ে গেছেন। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।