পুলিশের বিতর্কিত ডিআইজি মিজানুর রহমানকে এখনো গ্রেফতার না করায় উষ্মা প্রকাশ করেছেন সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ।
রোববার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এ উষ্মা প্রকাশ করেন।
আদালত দুদক আইনজীবীকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, ‘ডিআইজি মিজানকে কেন এখনো গ্রেফতার করছেন না? সে কি দুদকের চেয়ে বেশি শক্তিশালী?’
দুদক আইনজীবীর উদ্দেশ্যে আদালত বলেন, ‘আপনাদের একজন পরিচালকের বিরুদ্ধেও ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ উঠেছে। যেখানে দুদক দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে, সেই প্রতিষ্ঠানের একজন পরিচালকের বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্যিই অ্যালার্মিং।’
আদালত আরও বলেন, ‘ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ওই টাকার বিপরীতে বন্ধককৃত সম্পত্তি ছাড়িয়ে নিতে হাইকোর্টে আবার রিট করা হচ্ছে। এসব বিষয় নিয়ে ভাবার সময় এসেছে।’
রোববার হলমার্ক গ্রুপের চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলামের জামিনসংক্রান্ত শুনানির সময় আদালত এসব মন্তব্য করেন। পরে আদালত জেসমিন ইসলামের জামিন বাতিল করে তাকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন।
প্রসঙ্গত, ‘তুলে নিয়ে বিয়ে করলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার!’ শিরোনামে ৭ জানুয়ারি যুগান্তরে ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে বহুল আলোচিত রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। ‘এক সংবাদপাঠিকার জীবনও বিষিয়ে তুলেছেন ডিআইজি মিজান’ শিরোনামে পরদিন ৮ জানুয়ারি আরও একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হলে দেশজুড়ে তীব্র ক্ষোভ ও সমালোচনার ঝড় বইতে শুরু করে।
এরপর নানা জল্পনা-কল্পনা শেষে বিতর্কিত এই ডিআইজি মিজানকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনারের পদ থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ সদর দফতরে সংযুক্ত করা হয়।
এদিকে পুলিশ সদর দফতরে সংযুক্ত বিতর্কিত ডিআইজি মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে বিপুল অংকের অবৈধ সম্পদের খোঁজ পায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
অনুসন্ধান শেষে সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে মামলার সুপারিশ করে প্রতিবেদন দাখিল করেন অনুসন্ধান কর্মকর্তা দুদক পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির।
ডিআইজি মিজান ছাড়াও তার এক ভাই ও ভাগ্নের নামে করা সম্পদসহ মোট ৪ কোটি ২ লাখ ৮৭ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য তুলে ধরা হয়।