আসন্ন বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে একাধিকবার নির্বাচিত কাউন্সিলরগণ দুঃশ্চিন্তায় পড়েছেন। সুষ্ঠ-সুন্দর নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হলে ছিটকে পড়তে পারেন তারা।
বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের জন্মলগ্ন থেকেই বিএনপির প্রায় দেড় ডজন কাউন্সিলর তাদের জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছে। ফলে একটানা ১০ বছর কিংবা তার বেশি সময় ধরে কাউন্সিলর হিসেবে জনগণের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
আসন্ন বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনেও তারা ওই সকল ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী। তাদের জনপ্রিয়তায় পূনরায় নির্বাচিত হতে পারেন বলে মনে করছেন স্ব-স্ব ওয়ার্ডের জনগণ। তবে গাজীপুর ও খুলনার মতো নির্বাচন নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় রয়েছে ভোটার ও প্রার্থী উভয়ই।
জনপ্রিয়তায় র্শীষে থাকা বিএনপির কাউন্সিলরগণ হলেন, বরিশাল মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও ২৫ নং ওয়ার্ডের একাধিকবার নির্বাচিত কাউন্সিলর জিয়া উদ্দিন সিকদার জিয়া, বরিশাল মহানগর জাতীয় পার্টির সভাপতি ও বিসিসির ২ নং ওয়ার্ডের তিনবারের নির্বাচিত কাউন্সিলর এড. একেএম মুরতজা আবেদীন,
মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি ও ১২ নং ওয়ার্ডে একাধিকবার নির্বাচিত কাউন্সিলর কেএম শহিদুল্লাহ, মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি ও ২৪নং ওয়ার্ডের দুইবারের নির্বাচিত কাউন্সিলর ফিরোজ আহম্মেদ, মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি ও ২১ নং ওয়ার্ডে তিনবারের নির্বাচিত কাউন্সিলর আলতাফ মাহমুদ সিকদার,
মহানগর বিএনপির কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ও ২৬ নং ওয়ার্ডে তিনবারের নির্বাচিত কাউন্সিলর ফরিদ উদ্দিন, ২৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও তিনবারের নির্বাচিত কাউন্সিলর হুমায়ুন কবির, ৮নং ওয়ার্ডে একাধিকবার নির্বাচিত কাউন্সিলর সেলিম হাওলাদার,
৫ নং ওয়ার্ডে একাধিকবার নির্বাচিত কাউন্সিলর মাইনুল হক, ১৫ নং ওয়ার্ডে দুইবারের নির্বাচিত কাউন্সিলর সৈয়দ জাকির হোসেন জেলাল, বরিশাল মহানগর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ১৮ নং ওয়ার্ডে ৩ বারের নির্বাচিত কাউন্সিলর মীর একেএম জাহিদুল কবির।
এ ব্যাপারে বরিশাল মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জিয়া উদ্দিন সিকদার জিয়া জানান, আমরা মোটেও সঙ্কিত নই। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আমরা নির্বাচিত হবো। তবে সরকার কি ধরণের নির্বাচন করবে এটা সরকারের ব্যাপার।