বরিশালের উজিরপুর উপজেলার বামরাইলে গৃহবধূকে একাধিকবার ধর্ষনের অভিযোগে করা মামলা তুলে নিতে ধর্ষিতা বাদী ও তার স্বামীকে প্রাণ নাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার (২৫ জুন) রাতে এমন অভিযোগ এনে বাদী তার দায়েরকৃত পূর্বের ধর্ষণ ও পর্নগ্রাফি মামলার ৪ আসামীর বিরুদ্ধে উজিরপুর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।
সাধারন ডায়েরী (জিডি) সূত্রে জানা গেছে, ধর্ষিতা ওই গৃহবধূ দেড় বছর যাবত তার দিনমজুর স্বামীর সাথে উপজেলার বামরাইল ইউনিয়নের দক্ষিণ মোড়াকাঠী গ্রামের হারুন হাওলাদারের ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। গত ৬ মাস পূর্বে একই বাড়ির ভাড়াটিয়া মিলন রাঢ়ী গোপনে মোবাইল ফোনে ওই গৃহবধূর গোসলের নগ্ন ছবি ও ভিডিও ধারণ করে।
এরপর তা ইন্টারনেটে ফাঁস করার হুমকি দিয়ে একাধিকবার ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করে। সর্বশেষ মামলা দায়েরের কয়েকদিন পূর্বে ওই গুহবধূকে পুন:রায় ধর্ষণের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়ে বখাটে মিলন তার স্বামীকে ওই নগ্ন ভিডিও দেখায়। ওই ঘটনায় গত ২২ মে রাতে ধর্ষিতা গৃহবধূ বাদী হয়ে বামরাইল ইউনিয়নের দক্ষিন মোড়াকাঠি গ্রামের বাসিন্দা ধর্ষক মিলন রাঢ়ী, তার সহযোগী সাবেক ছাত্রলীগ ও বর্তমান যুবলীগ নেতা সজীব শরীফ, একই গ্রামের জসিম খান ও শাহাদাত শরীফের বিরুদ্ধে উজিরপুর মডেল থানায় ধর্ষণ ও পর্নগ্রাফি নিয়ন্ত্রন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছিলেন।
মামলা নং ২০। মামলা দায়েরের পর প্রধান অভিযুক্ত ধর্ষক মিলন রাঢ়ীকে (৩৫) পুলিশ গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠায়। সম্প্রতি কয়েকদিন আগে ধর্ষক মিলন রাঢ়ী জেল হাজত থেকে জামিনে মুক্ত হয়। এরপরই গত সোমবার (২৪ জুন) বিকেল ৫টার দিকে মিলন মামলার অন্য ৩ আসামী জসিম, শাহাদাত ও যুবলীগ নেতা সজীবকে সাথে নিয়ে ধর্ষিতা বাদীর ভাড়াটিয়া বাসায় গিয়ে মামলা তুলে নিতে বাদী ও তার স্বামীকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে নানাভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে।
এমনকি দ্রুত মামলা তুলে না নিলে তাদের বড় ধরনের ক্ষতি করবে বলেও হুমকি দেয়া হয়েছে।এছাড়া জিডিতে বাদী আরও উল্লেখ করেন, মামলা দায়ের হওয়ার পর থেকে আসামীদের পক্ষের লোকজন বিভিন্ন সময় বাদীকে মামলা তুলে নিতে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছিলো। এ ব্যাপারে উজিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিশির কুমার পাল মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ‘হুমকির বিষয়ে বাদী ধর্ষিতা গৃহবধূ একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। সেটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’