জার্মানির ফুটবলার মেসুত ওজিল গত শুক্রবার বিয়ে করেছেন। পাত্রী দীর্ঘদিনের বান্ধবী এমিনে গুলস। বসফরাস প্রনালীর পাশে একটি লাক্সারিয়াস হোটেল হয় বিয়ের মূল আয়োজন। বিয়েতে সাক্ষী হন স্বয়ং টার্কিশ প্রেসিডেন্ট এরদোগান এবং ফার্স্ট লেডি এমিনি
তুরস্কের ইংরেজি দৈনিক ডেইলি সাবার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,বিয়ের কোটি কোটি টাকার গিফট তিনি অসহায়দের সহায়তার চন্য দান করেছেন । বিয়ে উপলক্ষ্যে সবচেয়ে বড় আয়োজনটি করেছেন তুরস্কের দুটি সরনার্থী শিবিরে। যেখানে ১৫ হাজার সিরিয় শিশুকে রাতের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। এর আগে ফুটবল থেকে পাওয়া অনেক আন্তর্জাতিক পুরস্কারও এতিম শিশুদের সহায়তায় উৎসর্গ করেছেন।
গুলস ২০১৪ সালে মিস তুর্কি নির্বাচিত হয়ে ছিলেন। এই বিয়েটি সবচেয়ে বেশি আলোচিত হচ্ছে অতিথি হিসেবে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তৈয়ব এরদোগানকে দাওয়াত করায়।
ওজিল জার্মানির পক্ষ হয়ে খেললেও জাতিতে তিনি তুর্কি। তার হবুস্ত্রী পেশায় মডেল ও অভিনেত্রী গুলসে অবশ্য সুইডেনের নাগরিক। ২০১৪ সালে ‘মিস তুর্কি’ নির্বাচিত হন তিনি। একই বছর ‘মিস ওয়ার্ল্ড-২০১৪’এ অংশ নেন এ তরুণী। ওজিলের সাথে তার সম্পর্ক দীর্ঘদিনেরও। ২০১৭ সাল থেকে লন্ডনে একসাথে বসবাস করছেন তারা।
তুরস্কে ওজিলের মতোই ব্যাপক জনপ্রিয় গুলসে। তাদের বিয়ে নিয়ে দেশটিতে চলছে ব্যাপক উন্মাদনা। উৎসবের আমেজ পড়ে গেছে। দুজনের সাথে আবার এরদোগানের মধুর সম্পর্ক।
গেল সপ্তাহে সাক্ষাৎ করে তুর্কি প্রেসিডেন্টের হাতে বিয়ের নিমন্ত্রণপত্র তুলে দেন ওজিল ও গুলসে। তাদের আশীর্বাদ করেন এরদোগান। আলোচিত বিয়েতে উপস্থিত হন তিনি। গেল বছর বর্ণবৈষম্য ও অসম্মানের অভিযোগ এনে জার্মানি জাতীয় দল থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন ওজিল। এর নেপথ্যেও ছিলেন এরদোগান।
রাশিয়া বিশ্বকাপের আগে তুরস্ক প্রেসিডেন্টের সাথে সাক্ষাৎ করেন ওজিল। পরে এর একটি ভিডিও ক্লিপ নিজের ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেন তিনি। তাতে দেখা যায়, এরদোগানকে আর্সেনালের জার্সি উপহার দিচ্ছেন আর্সেনাল মিডফিল্ডার।
বিষয়টি স্বাভাবিকভাবে মেনে নিতে পারেননি জার্মানরা। ডানপন্থী রাজনীতির কারণে এরদোগানের ভাবমূর্তি নিয়ে পশ্চিমাবিশ্বে প্রশ্ন আছে। এমন একজনের সাথে ছবি তোলায় জার্মানদের মূল্যবোধ নষ্টের অভিযোগ তোলা হয় ওজিলের বিরুদ্ধে। তবু তাকে বিশ্বকাপের দলে রাখেন কোচ জোয়াকিম লো।
বিপত্তিটি বাধে প্রথম রাউন্ড থেকে সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা বিদায় নিলে। ব্যর্থতার দায় এসে পড়ে ওজিলের কাঁধে। ফলে উগ্র সমর্থকদের কাছ থেকে ঘৃণিত বার্তা হতে শুরু করে মৃত্যু হুমকিও পান তিনি। শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে জাতীয় দল থেকে অবসর নেন ২৯ বছরের মিডফিল্ডার।