তানজিম হোসাইন রাকিব: বরিশাল থেকে রাজধানীমুখী কোনো লঞ্চে মানা হয়নি স্বাস্থ্যবিধি। ভিড় ছিল ঈদের মতো। এক পর্যায়ে ম্যাজিস্ট্রেট পৌঁছে তৃতীয় শ্রেণির ডেকের প্রধান ফটক বন্ধের নির্দেশ দেয়।
রোববার দুপুর থেকে বরিশাল নদী বন্দরে থাকা তিনটি লঞ্চে ভিড় একটু একটু বাড়তে থাকে। বিকাল গড়াতেই লঞ্চগুলোতে ছিল উপচে পরা ভিড়। প্রতিটি লঞ্চের ধারণ ক্ষমতার দেড় থেকে দ্বিগুণ যাত্রী ওঠানো হয়। বিআইডব্লিউটিএর বন্দর কর্মকর্তা আজমল হুদা মিঠু সরকার নিজে মাইকিং করলেও তাতে কর্ণপাত করেনি কোনো যাত্রী।
এক পর্যায়ে বরিশাল জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউর রহমান র্যাব সদস্যদের নিয়ে নদী বন্দরে পৌঁছে ডেকের অবস্থা দেখে ডেকের প্রধান ফটক বন্ধের নির্দেশ দনয়। পরে তিনটি লঞ্চেরই প্রধান ফটক বন্ধ করা হয়।
যাত্রীরা জানান, স্বাস্থ্যবিধির কথা জানা থাকলেও মানছে না কেউ। এই অবস্থায় করোনা মহামারি আকারে ছড়িয়ে পরার আশংকা তাদের।
এ ব্যাপারে বরিশাল নদী বন্দর কর্মকর্তা আজমল হুদা মিঠু সরকার বলেন, সাবধানতার চেষ্টা করলেও কেউ কথা শুনছে না। এর এক পর্যায়ে সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় নদী বন্দরে পৌঁছান জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউর রহমান।
বরিশাল জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউর রহমান জানান, নদী বন্দরে নোঙর করা তিনটি লঞ্চের ডেক বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
বরিশাল নদী বন্দর থেকে রোববার সুন্দরবন ১১, সুরভী ৯ ও এ্যাডভেঞ্জার ৯ রাজধানীর উদ্দেশ্য রাত সাড়ে ৮টার মধ্যে যাত্রা করার কথা। লঞ্চগুলোর মধ্যে শুধু সন্দরবন ১১ লঞ্চের সামনে জীবাণুনাশক টানেলের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ২৪ মার্চের পর এই প্রথম বরিশাল থেকে রাজধানীমুখী হচ্ছে লঞ্চগুলো।