চাঁদপুরের মেঘনায় ছাত্র নিখোঁজের ঘটনায় ট্রলার চালকদের কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আব্দুল্লা আল মাহমুদ জামান।
১২ জুন বুধবার নিখোঁজ ছাত্রকে নদীতে খুঁজতে ঘটনাস্থলে সরজমিনে গিয়ে তিনি এ হুশিঁয়ারি দেন।তিনি বলেন,প্রতিটি ট্রলারকে আমরা ৫টি বয়া ও ১৫ টি লাইফ জ্যাকেট সাথে নিয়ে যাত্রীদের ভ্রমণ করাতে নির্দেশনা দিয়েছি।কিন্তু অনেকেই যেন আমাদের সে নির্দেশনা মানতে অবহেলা করছে।আজ যদি ট্রলার চালকরা তাদের ট্রলারে ওই বয়া ও লাইফ জ্যাকেট রাখতো।
তাহলে নিখোঁজ হওয়া রাশেদুল ইসলাম রাফি ভ্রমণে এসে নদীতে নামার সময় লাইফ জ্যাকেট পরে নামতে পারতো।এতে সে নদীতে ডুবে যাওয়া থেকে রক্ষা পেতে পারতো।তিনি বলেন,রাশেদুল ইসলাম রাফিকে খুঁজার জন্য আমাদের বিভিন্ন টিম নদীতে কাজ করছে।
রাশেদের সাথের নদীতে নামা বাকি ৭ সহপাঠীকে আমরা নিরাপদে সরিয়ে নিয়েছি।পাশাপাশি এমন ঘটনা এড়াতে নদীতে চলাচলকারী সকল ভ্রমণ ট্রলারকে বিকাল সাড়ে ৪ টা পর ট্রলার যাতে না চালায় সে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।কেউ নির্দেশনা অমান্য করলেই তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।চাঁদপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক ফরিদ আহমেদ জানান, আমরা খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে আসি।

নিখোঁজ ছাত্রকে খুঁজতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আব্দুল্লা আল মাহমুদ জামান
বর্তমানে আমাদের ৪ সদস্য বিশিষ্ট ১টি টিম নিখোজ ছাত্রকে খুজতেছে।প্রসঙ্গত,কুমিল্লা থেকে ৮ শিক্ষার্থী মিনিকক্সবাজারে ঘুরতে এসে সাতারের উদ্দেশ্যে নদীতে নামে।এসময় নদীতে জোয়ারে পানি বৃদ্ধি পেলে দুপুর ১ টায় রাশেদুল ইসলাম রাফি নামের ১ শিক্ষার্থী নদীতে ডুবে যায়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তাকে উদ্ধারে দমকল বাহিনীর ডুবুরীরা অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।