বরগুনার আমতলী উপজেলার উত্তর টিয়াখালী গ্রামের জামাতা মিলন আকন আজ বুধবার দুপুরে শাশুড়ি হালিমা বেগমকে মারধর করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত শাশুড়িকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে দিয়েছে।
জানাগেছে, উত্তর টিয়াখালী গ্রামের মাদকসেবী মিলন আকন গত দুই মাস পূর্বে নানি শাশুড়ি আজিতুননেছার গহনা চুরি করে বন্ধক রাখে। ওই গহনা গত সোমবার খুঁজে না পেয়ে নাতনি ফাতেমাকে জানায় আজিতুন। নাতনিকে জানালে ওই গহনা বন্ধক রাখার কাগজ খুঁজে পায়। গহনা চুরি করে বন্ধক রাখার বিষয় নিয়ে বুধবার ফাতেমার সাথে স্বামী মিলন আকনের কথা কাটাকাটি হয়।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মিলন স্ত্রী ফাতেমাকে মারধর শুরু করে। ফাতেমার ডাক চিৎকারে তার মা হালিমা বেগম জামাতার ঘরে ছুটে আসেন। এসময় জামাতা মিলন আকন শাশুড়িকে বেধড়ক মারধর করে। জামাতার মারধরে শাশুড়ির চোখ, মুখমন্ডল ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম হয়। স্বজনরা হালিমাকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ ঘটনায় আমতলী থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
শাশুড়ি হালিমা বেগম বলেন, মেয়ে বিয়ে দেয়ার পর থেকেই জামাই আমার মেয়েকে মাদক সেবনের টাকার জন্য মারধর করে আসছে। মাদকের টাকা না দিলেই মেয়ের উপর নির্মম নির্যাতন চালায়। গত দুই মাস পূর্বে আমার মায়ের গহনা চুরি করে বন্ধক রেখে মাদকসেবন করেছে। ওই গহনার কথা জানতে চাওয়ায় আমার মেয়েকে মারধর শুরু করে। আমি মারধর ঠেকাতে গেলে আমাকে বেধড়ক মারধর করেছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, হালিমার চোখ, মুখমন্ডল ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফোলা জখমের চিহৃ রয়েছে।
আমতলী থানার ওসি আবুল বাশার বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।