আসন্ন ঈদ উৎসবে বরিশাল নগরীর সব বিপনী বিতানে রেডিমেট পোশাক বিক্রি করা হয় একদর মূল্যে। পোশাকের দাম রাখা হয় অনেক বেশী এমন অভিযোগ আছে সব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেই। গত কয়েকবছর যাবত ঈদ উপলক্ষে রমজান মাসে কয়েকটি বিপনী বিতানে ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালালে দেখা যায়, পাইকারী বাজার থেকে যে দামে কেনা হয়, ভোক্তাদের কাছে বিক্রি করা হয় দ্বিগুন দামে। ভ্রাম্যমান আদালত ব্যবসায়ীদের অর্থদন্ড করলেও এর কোন স্থায়ী সমাধান হচ্ছেনা।
আজ শনিবার নগরীর ৪টি বিপনী বিতান মালিককে এ অভিযোগে মোট ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উর্মি ভৌমিকের নেতৃত্বে বেলা ১১টার দিকে নগরের বাণিজ্যকেন্দ্র গির্জামহল্লা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুল ইসলাম।
অভিযানের শুরুতেই ‘স্মার্ট ফ্যাশন’ নামের একটি পোশাকের দোকানে অভিযানকালে আদালত বিভিন্ন ধরনের অসঙ্গতি খুঁজে পান। সেখানে আমদানি করা কাপড়ের বৈধ কাগজপত্র না থাকা এবং পাইকারী বাজার থেকে ১৫০০ টাকায় কেনা পণ্য তিন হাজার টাকায় বিক্রি করার বিষয়টি আদালতের নজরে এলে দোকানটির ব্যবস্থাপক মিজানুর রহমানকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
একই এলাকায় আরও কয়েকটি দোকানে পোশাকের ক্রয়মূল্যর চেয়ে অধিক মূল্য পোশাক বিক্রি করাসহ বিভিন্ন কারনে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৪০ এবং ৩৯ ধারায় আরও তিনটি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়।
এসব প্রতিষ্টানের মধ্যে রয়েছে বৈশাখী নামে একটি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক নুরুজ্জামানকে দশ হাজার, পিটার ইংল্যান্ড নামে অপর এক প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক আবদুল কাদেরকে দশ হাজার টাকা এবং ‘ নেক্সট প্লাস’ এর ব্যবস্থাপক রতন চৌধুরীকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ভ্রাম্যমান আদারতের অভিযান চলাকালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সহযোগিতা করেন এএসপি দেবাশীষ কর্মকার ও র্যাব – ৮ এর সদস্যরা।