27 C
Dhaka
মে ১, ২০২৫
Bangla Online News Banglarmukh24.com
প্রশাসন

সাবরিনা একের পর এক ভয়াবহ তথ্য দিচ্ছেন

করোনা ভাইরাসের চিকিৎসা নিয়ে চলছে প্রতারনার মহাউৎসব করোনা পরীক্ষা না করেই টাকার বিনিময় দিয়েছেন করোনা নেভেটিভ সনদ। এই প্রতারনার শিকার হয়েছে গ্রাম কিংবা শহরের হাজারো মানুষ কিন্তু টাকা দিলেও সঠিক কোন রিপোর্ট দিতেন না জোবেদা খাতুন হেলথ কেয়ারের (জেকেজি) চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা ও তার স্বামী আরিফ চৌধুরীকে দ্বিতীয় দফা রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে ডিবি। একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য দিচ্ছেন তারা। আলোচিত শাহেদ করিমের সঙ্গেও সখ্য ছিল সাবরিনার। তারা একে অপরের পূর্ব পরিচিত। একসঙ্গে ডিজে পার্টিতেও যেতেন তারা ও তাদের মূল লক্ষ্যই ছিলো সাধারন মানুষের সাথে প্রতারনা করে টাকা হাতিয়ে নেওয়া।

এছাড়া জেকেজির উত্থানের নেপথ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের বড় একটি চক্র কাজ করেছে বলে জানা গেছে। ওই চক্রের মাধ্যমেই জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যন ডা. সাবরিনা স্বাস্থ্য অধিদফতরের কাছ থেকে করোনা পরীক্ষার অনুমতি বাগিয়ে নেন।

রিমান্ডে জেকেজিতে করোনা জালিয়াতির তিন মূলহোতাকে জিজ্ঞাসাবাদে চক্রের বেশ কিছু তথ্য গোয়েন্দাদের কাছে এসেছে। তবে তদন্তের স্বার্থে এসব তথ্য তারা এ মুহূর্তে প্রকাশ করছেন না। তারা তথ্যের সত্যতা যাচাই-বাছাই করছেন।

রোববার (১৮ জুলাই) একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে গোয়েন্দা সূত্রের বরাতে এ সব তথ্য জানা গেছে।

জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানান, অন্যের সিমকার্ড ব্যবহার করে ডা. সাবরিনা প্রতারণা করেছেন।ডা. সাবরিনা ও আরিফের মোবাইল ফোনের কললিস্টের সূত্র ধরে গোয়েন্দারা প্রায় দুই ডজন সন্দেহভাজনকে শনাক্ত করেছেন। তাদের নজরদারিতে রাখা হয়েছে। তাদের ব্যাকগ্রাউন্ডসহ নানা তথ্যউপাত্ত যাচাই করা হচ্ছে। তাদের গতিবিধিও পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। তাদের মধ্যে ওভাল গ্রুপ ও জেকেজির সাত পরিচালকসহ স্বাস্থ্য অধিদফতর, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, আরিফ ও সাবরিনার বন্ধু ও বান্ধবীও রয়েছেন। তবে তদন্তের স্বার্থে এখনই তাদের নাম প্রকাশ করছেন না গোয়েন্দারা।

সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, শুক্রবার মধ্যরাতে রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক মো. শাহেদ এবং জেকেজির ডা. সাবরিনাকে মুখোমুখি করা হয়েছিল। তাদের দুজনের মুখেই স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রভাবশালী এক কর্মকর্তার নাম উঠে আসায় দুজনকে সামনাসামনি করে ওই কর্মকর্তা সম্পর্কে জানার চেষ্টা করেন গোয়েন্দারা। এ সময় সাবরিনা জানান, আরিফের সঙ্গে বিরোধ তৈরি হলে স্বাস্থ্য অধিদফতরে গিয়ে তিনি ওই কর্মকর্তাকে অনিয়ম সম্পর্কে জানিয়েছেন। তাকে বলেছিলেন, এখন থেকে আমি (সাবরিনা) আর আরিফের সঙ্গে নেই। উত্তরে তিনি বলেছিলেন, যা হওয়ার তো হয়েই গেছে, এখন আর মাথা গরম করা যাবে না। তবে শাহেদ কি বলেছেন, সে বিষয়ে কিছু বলতে চায়নি সূত্রটি।

সম্পর্কিত পোস্ট

রমজানে নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকবে বরিশাল

banglarmukh official

ডেভিল হান্টে গ্রেফতার আরও ৬৭৮

banglarmukh official

দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় সেনা সদস্যদের যে বার্তা দিলেন সেনাপ্রধান

banglarmukh official

অপরাধ নিয়ন্ত্রণে পুলিশের কাছে ম্যাজিক নাই: আইজিপি

banglarmukh official

১২ পুলিশ সুপারকে বদলি

banglarmukh official

মামলা বাণিজ্যে জড়িত থাকার অভিযোগে এসআই প্রত্যাহার

banglarmukh official