28 C
Dhaka
জুলাই ৬, ২০২৫
Bangla Online News Banglarmukh24.com
অপরাধ জেলার সংবাদ

প্রাণ-এর অলটাইম ব্রেডের ভেতর মিললো আস্ত কেঁচো!

অনলাইন ডেস্ক:

দোকান থেকে প্রাণ কোম্পানির অলটাইম ব্রান্ডের একটি ব্রেড (পাউরুটি) কিনেছিলেন সৈয়দ ফরিদ আহমেদ। দোকানে বসে অন্যান্য দিনের মতো সেই ব্রেড দিয়ে বিকালের নাস্তা করতে বসেন। প্যাকেট খুলে ব্রেডটি মুখে দেয়ার পরই টের পান অস্বাভাবিক কিছু একটার উপস্থিতি। হাতে থাকা বাকি অংশে ভালো করে চোখ বুলিয়ে দেখেন আস্তো একটি কেঁচো নড়াচড়া করছে ব্রেডের মধ্যে!

ঘটনাটি ঘটেছে গত শুক্রবার (১২ জুলাই) হবিগঞ্জ শহরের বাইপাস রোডের আনোয়ারপুর এলাকায়।

ভুক্তোভাগী ক্রেতা সৈয়দ ফরিদের সাথে কথা বলেছে  সাংবাদিককেরা। এছাড়া তার ভিডিও বক্তব্যও রয়েছে একটি টিভি চ্যানেলের সাংবাদিকের কাছে।

তিনি বলেন, ‌‘আমি প্লাস্টিক ডোর এসএএম পলিমার এর হবিগঞ্জের ডিলার। আনোয়ারপুরে আমার দোকান। গত শুক্রবার বিকাল ৪টার দিকে দোকানে বসেছিলাম বন্ধু সুমনের সাথে। বিকাল বেলা সাধারণত বন (ব্রেড) বা এরকম কিছু খাই। বেশিরভাগ সময়ই অলটাইম বন কিনে নিই। ওই দিন পাশের পঙ্কিরাজ স্টোর নামক একটা দোকান থেকে ২টা অলটাইম কিনি। সুমনকে একটা দিয়ে আমি একটা খাওয়া শুরু করি।’

ফরিদ বলেন, ‘প্যাকেট খুলে আর তাকাইনি। একটু মুখে দিয়েই আমার কেমন যেন লাগলো। অন্যরকম স্বাদ। তখন হাতে থাকা বাকিং অংশ বনের দিকে তাকালাম। দেখি সাপের বাচ্চার মতো কী যেন নড়াচড়া করছে। ভয়ে আর ঘেন্নায় এক ঝটকায় হাতের বনটি ছুঁড়ে ফেললাম। সুমন এগিয়ে গিয়ে দেখলো ব্রেডের মধ্যে একটা কেঁচো নড়ছে! এটা শোনে সাথে সাথেই বমি শুরু হলো আমার। একটানা অনেকক্ষণ বমি হয়। এক পর্যায়ে দুর্বল হয়ে কথা বলার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলি। লোক জড়ো হলে তারা মনে করেছিলেন আমি অজ্ঞান হয়ে গেছি। তারাই আমাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে ডাক্তার পেট ওয়াশ করে কিছু ওষুধ দিয়েছেন। এখন সুস্থ আছি।’

ফরিদ জানান, এরপর দোকানদার মোহাম্মদ জামাল মিয়াকে ডেকে অন্যরা বকাঝকা করেন। ‘এরপর পরিচিত এক সাংবাদিক ভাইকে বিষয়টা বলি’, বলেন সৈয়দ ফরিদ।

তিনি জানান, তার গ্রামের বাড়ি হবিগঞ্জের বানিয়াচঙ্গে। থাকেন জেলা শহরেই।

আজ মঙ্গলবার ফরিদ জানান, পঙ্কিরাজ স্টোরের মালিক জামাল মিয়া আজ তার (ফরিদের) দোকানে এসে তাকে দোষারোপ করেছেন। দুঃখ করে তার কাছে বলেছেন, ওই দিন স্থানীয়দের মধ্যে ঘটনাটি অনেক জানাজানি হয়েছে। এখন তার দোকানের বেচাকেনা কমে গেছে।

ফরিদ আরও জানান, ঘটনার পরই জামাল উদ্দিন ব্রেডটি নিয়ে গিয়েছিলেন। প্রাণ কোম্পানির ডিস্টিবিউটরদেরকে বিষয়টি দেখানোর জন্য। এরপর হাসপাতাল থেকে ফিরে পরিচিত সাংবাদিতের অনুরোধে তিনি ওখানে গিয়ে কেঁচোর ভিডিও করে নিয়ে আসেন। তার কাছ থেকে অনেকে ভিডিও নিয়ে অনলাইনে ছেড়েছেন বলেও জানান ফরিদ।

‘ওই দিনের ঘটনা মনে হলে এখন শরীর শিরশির করে ওঠে’, বলেন এই ভুক্তভোগী।

সম্পর্কিত পোস্ট

মাগুরায় ধর্ষণের শিকার সেই শিশু মারা গেছে

banglarmukh official

শিশু আছিয়ার জানাজায় অংশ নিতে মাগুরায় মামুনুল-হাসনাত-সারজিস

banglarmukh official

অটোরিকশায় ছাত্রীর সঙ্গে অশোভন আচরণ, ভিডিও ভাইরাল

banglarmukh official

বগুড়ায় স্কুলছাত্রকে শ্বাসরোধ করে হত্যা

banglarmukh official

মাগুরায় শিশু ধর্ষণ: ১৮০ দিনের মধ্যে বিচার শেষ করার নির্দেশ হাইকোর্টের

banglarmukh official

বোনের বাড়ি বেড়াতে এসে ধর্ষণের শিকার শিশু, ভগ্নিপতি ও শ্বশুর আটক

banglarmukh official