তানজিম হোসাইন রাকিবঃ বরিশালে যেন নিয়মিত বিরতিতে মোটরসাইকেল চুরির হিড়িক পড়েছে। দিনে দুপুরে হরহামেশেই চুরি হয়ে যাচ্ছে মোটরসাইকেল। ১০-১৫ মিনিট সময় পেলেই কৌশলে মোটরসাইকেল নিয়ে উধাও হয়ে যায় তারা। মোটরসাইকেল চোরদের একটি শক্তিশালী দল গড়ে উঠেছে। এদের রয়েছে শক্তিশালী নেটওয়ার্ক। জানা যায়, উপজেলার বিভিন্নস্থানে গত কয়েক দিনে অন্তত ৫/৭টি মোটরসাইকেল চুরির ঘটনা ঘটেছে। নগরীর সব জায়গায় ঘুরে বেড়াচ্ছে মোটরসাইকেল চোর চক্রের সদস্যরা। সুধু ঘুরে বেড়ানোতেই থেমে নেই এরা। সুযোগ বুঝেই নিয়া যায় একটি মানুষের সারা জীবনের সঞ্চয়ে কেনা মটরসাইকেলটি। যখন মানুষের সখের মোটরসাইকেল টি চুরি হয়ে যায় তখন একটি মানুষ নিঃস্ব প্রায়। সব কিছু চোখের সামনে থাকলেও প্রশাসন এই দিক মনে হয় নিরবতা পালন করছে।
৩০ জুন,২০২০। নিজের ব্যাক্তিগত মোটরসাইকেলটি নিজের কর্মস্থল চাঁদমারি বিদ্যুৎ অফিসের সামনে রেখে তার ঠিকাদারি সাইটের কার্যক্রম দেখাশুনা করছিলেন আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মলীগ, বরিশাল মহানগরের সভাপতি মুহাঃ পলাশ চৌধুরী। হটাৎ একজন লোককে মোটরসাইকেল এর আসে পাশে ঘোরাঘুরি করতে দেখলে পলাশ চৌধুরীর মনে সন্দেহ জাগে। সে দূর থেকে মোটরসাইকেল এর দিকে খেয়াল রাখতে থাকে। এক সময় মোটরসাইকেলটি নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় লোকটাকে ধরে ফেলে এবং স্থানীয় লোক দুই একটা চড় থাপ্পর দেওয়ার পরে চোরটি কোনোরকম ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
পরে খোজ নিয়ে জানা যায়, চুরির চেষ্টা করা যুবকটির নাম মিজানুর রহমান। পিতার নাম তাহের আলী। মিজানুর রহমান বাবুগঞ্জের বায়লাখালী গ্রামের বাসিন্দা। তিনি স্থানীয় একটি ওয়ার্লিং এর দোকানে মিস্ত্রির কাজ করতেন এবং মোটরসাইকেল চোর চক্রের সাথে জরিত।
নগরীতে এরকম মিজানুর রহমানের মত হাজারো মোটরসাইকেল চোর চক্রের সদস্য ঘুরাফিরা করছে। চুরি হচ্ছে শত মানুষের স্বপ্নের মোটরসাইকেল। এ ব্যাপারে প্রশাসন নজর না দিলে এরকম ঘটনা বন্ধ হবে না।