বরিশাল র্যাপিড অ্যাকশন ব্যটালিয়ন (র্যাব) অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবির দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের মধ্যে আজিজুল হক (২৫) নামে একজনকে বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় রাজধানীর মিরপুর এবং অপরজন মুফতি আব্দুল হাকিমকে (৩৭) দোহার থানাধীন জয়পাড়া গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে বরিশাল র্যাব সদর দপ্তর রুপাতলী কার্যালয় থেকে প্রেরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার আজিজুল হক ও রফে আজিজ পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার মুরাদিয়া গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে।
র্যাব অফিস সূত্রের দাবি- গ্রেপ্তার আজিজুল হক প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাতের স্বীকার করেছেন তিনি ২০১০-১১ সালে স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় পড়াশুনা করার সুবাদে আতিকুর রহমান বাবু, নাজমুল, মাইনুদ্দিন ওরফে আলী হোসেন, আল আমিন এবং হাসানদের মাধ্যমে উগ্রপন্থী কর্মকাণ্ডে উদ্বুদ্ধ হন। পরবর্তীতে নিজেই উগ্রবাদে জড়িয়ে পড়েন এবং জেএমবির সক্রিয় সদস্য হিসেবে দেশের বিভিন্ন স্থানে কর্মী সংগ্রহের কাজ করেন। তাছাড়া তিনি আইটি প্রশিক্ষণ নিয়ে ছদ্মবেশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও উগ্রবাদী কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিলেন।
গ্রেপ্তার অপরজন মুফতি আব্দুল হাকিম শরিয়তপুরের জাজিরা থানাধীন নাওডোবা গ্রামের আব্দুল কাদিরের ছেলে।
র্যাবের দাবি- আব্দুল হাকিমও জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন তিনি জেএমবির একজন সক্রিয় সদস্য। ২০০২-২০০৭ সাল পর্যন্ত তিনি স্থানীয় শিবচরের একটি মাদ্রাসায় পড়াশুনা করেন। পরে ২০০৮ সালে তিনি রাজধানী ঢাকার ফকিরাবাদে কওমী পড়াশুনা শেষ করে দোহারের একটি মসজিদের ইমামতির পাশপাশি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করছেন। তবে তিনি ছাত্র অবস্থাতেই তরিকুল ইসলাম ওরফে সাকিব, মানিক বেপারি ও নাজমুল নামে একজনে মাধ্যমে উগ্রবাদে জড়িয়ে পড়েন। পরে বরিশাল, ভোলা ও রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলাতে উগ্রপন্থী কর্মকাণ্ডের জন্য সদস্য সংগ্রহে গোপন দাওয়াতি কার্যক্রম করেন।
তাদের দুইজনের এই উগ্রবাদের তথ্য উপাত্ত¡ সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করে বরিশাল র্যাব। এই ঘটনায় তাদের দু’জনের বিরুদ্ধেই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে র্যাবের প্রেরিত বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।’