রিফাত শরীফ হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে মো. সাগর ও নাজমুল হাসান নামে আরও ২ আসামি। শুক্রবার (৫ জুলাই) রাত সাড়ে আটটার দিকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম গাজীর আদালতে হাজির করা হলে তার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়। সেই সঙ্গে কামরুল হাসান সাইমুনকে আরও ৫ দিনের রিমান্ডে নিয়ে পুনরায় জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন আদালত। এর আগেও সাইমুনকে ৫ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছিল। নতুন করে হত্যার দায় স্বীকার করা মো. সাগর গত ২৬ জুন পুলিশ কনস্টেবল হিসেবে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়েছিল। ০০৭ গ্রুপে হত্যার পরিকল্পনার সঙ্গে তার সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়ায় গত ৩০ জুন সাগরকে গ্রেপ্তার করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বরগুনা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হুমায়ূন কবির এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত পহেলা জুলাই মামলার এজাহারভুক্ত ১১ নম্বর আসামি অলি ও তানভীর এবং বৃহস্পতিবার রাতে মামলার ৪ নম্বর আসামি চন্দন ও ৯ নম্বর আসামি মো. হাসান হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। এ নিয়ে ৬ জন আসামি রিফাত হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে।
বরগুনায় রিফাত হত্যা মামলায় বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ১০ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। প্রধান আসামি নয়ন বন্ড মঙ্গলবার ভোররাতে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। দ্বিতীয় আসামি রিফাত ফরাজীকে বুধবার রাতে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। মামলার দ্বিতীয় আসামি রিফাত ফরাজীকে ৭ দিন এবং ১২ নম্বর আসামি টিকটক হৃদয় ও রাফিউল ইসলাম রাব্বীকে ৫ দিনের রিমান্ডে নিয়ে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করছে। বরগুনা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হুমায়ুন কবির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।