কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে কর্নাটকের কংগ্রেস-জনতা দল জোট সরকার। এমন সময়ে সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে যখন রাজ্যের মূখ্যমন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামী যুক্তরাষ্ট্র সফরে রয়েছেন। তার অনুপস্থিতিতেই জোটের অন্তত ১১ বিধায়ক স্পিকারের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। আরও দুজন তাদের পদত্যাগপত্র দেয়ার প্রক্রিয়ায় রয়েছেন। পদত্যাগী বিধায়কদের ৮ জন কংগ্রেস ও তিনজন জেডিএস এর।
পদত্যাগের পর ১৩ জন বিধায়ক একসঙ্গে রাজ্যপল বাজুভাই আর বালার সঙ্গে দেখা করবেন। রাজ্যপালকে তারা জানাবেন, জোট সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে। তাই নতুন করে কুমারস্বামী সরকারের বিরুদ্ধে আস্থা ভোটের জন্য বিধান সভার অধিবেশন ডাকা হোক।
দল বেঁধে কংগ্রেস বিধায়কদের ইস্তফা দেওয়ার ঘটনায় রীতিমতো অবাক প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব। পরিস্থিতি মোকাবিলায় বেঙ্গালুরু ছুটে গিয়েছেন কর্নাটকের পানিসম্পদ মন্ত্রী ডি কে শিবকুমার। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি দীনেশ গুন্ডুরাও রয়েছেন এখন বিদেশে। তাই কার্যকরি সভাপতি ঈশ্বর খান্দ্রে ছুটে গিয়েছেন বেঙ্গালুরুতে প্রবীণ কংগ্রেস নেতা রামলিঙ্গ রেড্ডির বাড়িতে।
এ দিন যে কংগ্রেস বিধায়করা ইস্তফা দিয়েছেন, রামলিঙ্গ তাদের অন্যতম।
কর্নাটকে জোট সরকার গঠনের আগেই এক ধরনের জটিলতায় তৈরি হয়েছিল। চলতি বছর নির্বাচনে ২২৪ আসনের বিধানসভায় বিজেপি ১০৫ আসন পেয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। তবে সরকার গঠনে তা পর্যাপ্ত ছিল না।
পরবর্তীতে দ্বিতীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ দল কংগ্রেস (৭৭ আসন) ও জনতা দল-সেক্যুলার (৩৭ আসন) ঐক্যবদ্ধভাবে সরকার গঠন করে। সরকারের মূখ্যমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হন জেডি-এস এর সাবেক সভাপতি এইচডি কুমারস্বামী।