33 C
Dhaka
জুলাই ১৩, ২০২৫
Bangla Online News Banglarmukh24.com
প্রচ্ছদ বরিশাল রাজণীতি

নগর পিতার আসনে বসছেন সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ!

“প্রাচ্যের ভেনিস” খ্যাত বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি) নির্বাচনে শেষ মুহূর্তে “স্বাধীনতা- সার্বভৌমত্ব, শান্তি, উন্নয়ন ও অগ্রগতির প্রতীক” নৌকার পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়ে “নগর পিতার” আসন “অলংঙ্কৃত” করার পথে রয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী রাজনীতির “যোগ্য উত্তরাধিকার” “যুবরত্ন” সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ। আগামী ৫ বছরের জন্য তিনিই যে নগরবাসীর অভিভাবকের আসনে বসছেন এটা অনেকটাই নিশ্চিত হওয়া গেছে। বিশেষ করে গতকাল নগর ভবনের সামনে সাদিক আবদুল্লাহ’র নৌকা প্রতীকের সমর্থনে অনুষ্ঠিত পথ সভায় মানুষের ঢল নামায় তার বিজয়ী হওয়ার আভাস স্পষ্ট হয়ে ওঠে।

ওই পথ সভায় ৩০ টি ওয়ার্ডের নেতা-কর্মীসহ দলমত নির্বিশেষে হাজার হাজার সাধারণ মানুষ জড়ো হন। লোকে লোকারণ্য পথ সভাটি এক পর্যায়ে রূপ নেয় জনসভায়। এসময় সাদিক আবদুল্লাহ প্রয়াত মেয়র শওকত হোসেন হিরন’র স্বপ্নের নগরী বিনির্মাণে নৌকা প্রতীকে ভোট দাবি করেন নগরবাসীর কাছে। সাদিক বলেন, ‘‘বরিশালে বিএনপি অসংখ্যবার নির্বাচিত হয়েও ছিটে-ফোঁটা উন্নয়ন করেনি। কেবল জনগণের সম্পদ লুটপাট করেছে। শওকত হোসেন হিরন নির্বাচিত হয়ে বরিশাল নগরীর ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। তার স্বপ্ন ছিলো এই নগরীকে দেশের সবচেয়ে উন্নত ও পরিচ্ছন্ন নগরী হিসেবে গড়ে তোলা। তবে তিনি অকালেই চলে যাওয়ায় সেই উন্নয়ন স্তিমিত হয়ে পড়ে। আমি হিরন’র সেই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে নগরবাসীর সমর্থন চাই।’’ এদিকে সাদিক আবদুল্লাহ’র বিজয়ের “দ্বারপ্রান্তে” থাকার বিষয়টি ভোটারদের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়েছে।

প্রতিটি পাড়া-মহল্লার মোড়ের চায়ের দোকান থেকে শুরু করে রাজনৈতিক কার্যালয় ও অফিস পাড়ায় সর্বত্র আড্ডা-আলাপে সাদিক আবদুল্লাহ’র বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে থাকার বিষয়টি সমধিক আলোচিত হচ্ছে। অনেকেই মন্তব্য করছেন- এখন শুধু সাদিক’র শপথ নেওয়ার দৃশ্য দেখার অপেক্ষায় রয়েছে নগরবাসী। নগরীর ৩০ টি ওয়ার্ডে ঘুরে দিনমজুর থেকে শুরু করে নানা শ্রেণি পেশার ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে গণরায় যে নৌকার পক্ষে যাচ্ছে তার পূর্বাভাস পাওয়া গেছে। নৌকার পক্ষে ঝড়-বৃষ্টি ও রোদ উপেক্ষা করে বিরামহীনভাবে বৈচিত্র্যময় প্রচার-প্রচারণায় আওয়ামী লীগের তৃণমূল থেকে শুরু করে উপজেলা, জেলা, মহানগর ও কেন্দ্রীয় “তারকা” নেতাদের ব্যাপক অংশগ্রহণ ভোটারদের হৃদয় স্পর্শ করেছে। তারা ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে এটা বুঝাতে সক্ষম হয়েছেন যে- নৌকা জিতলে নগরীতে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকা- বাস্তবায়িত হবে। তাদের কাছ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র এ উন্নয়ন বার্তা পেয়ে উন্নয়নের স্বপ্নে বিভোর নগরবাসী উন্নয়নের স্বার্থে শেষ পর্যন্ত দলমত নির্বিশেষে সবাই নৌকার পক্ষে ঝুঁকে পড়েছেন।

একটি প্রভাবশালী গোয়েন্দা সংস্থা ও একটি বেসরকারি এনজিওর রিপোর্টেও সাদিক’র বিজয়ী হওয়া সম্ভাবনার সরেজমিন তথ্য উঠে এসেছে। সম্প্রতি ওই এনজিও বরিশাল শহরে ভোটের পূর্ব মুহূর্তে তাৎক্ষণিক জনমত জরিপ করেছে। সেখানে ব্যাপক ব্যবধানে এগিয়ে সাদিক আবদুল্লাহ। এনজিওটির জনমত জরিপে সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ’র প্রতীক নৌকার পক্ষে ৫৬% ভোটার মতামত দিয়েছেন। বিএনপির ধানের শীষের প্রার্থী মজিবর রহমান সারোয়ার সেখানে মাত্র ৩১% ভোটারের সমর্থন পাচ্ছেন। অপরদিকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী ৭% ভোটারের সমর্থন পাচ্ছেন। বাকি ৬% ভোটার কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি এনজিওটির ওই জরিপে।

এনজিওটির জরিপের ফল নগরবাসীর কাছে প্রকাশ হলে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা ফিরে আসে সাদিক আবদুল্লাহ’র পক্ষে প্রচার-প্রচারণায়। নির্বাচনের ঠিক আগ মুহূর্তে এনজিওটির এমন জরিপে ২৫% পিছিয়ে পড়ায় মজিবর রহমান সারোয়ার’র নেতাকর্মীরা মনস্তাত্বিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। বিগত সিটি নির্বাচনে ভোটার ছিল ২ লাখ ১১ হাজার। এবার ২ লাখ ৪২ হাজার। নতুন ভোটার যোগ হয়েছে প্রায় ৩১ হাজার। নতুন এই তরুণ ভোটারদের আশা আকাঙ্খার প্রতীক সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ। সাদিক আবদুল্লাহ তারুণ্যের অহংকার। বরিশালে তরুণ প্রজন্মের আদর্শও তিনি। তরুণদের কাছে তার জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বি। আর এই তরুণ প্রজন্মের ভোটই এবারের বরিশাল সিটি নির্বাচনের সমস্ত হিসাব নিকাশ পাল্টে দিচ্ছে। যে কারণে অনেকেই বলছেন, সাদিক’র জয়ের পথ রচিত হবে তারুণ্যের হাত ধরে। অপরদিকে বিএনপি প্রার্থীকে মেয়র নির্বাচিত করে গত ৫ বছর যে খেসারত নগরবাসী দিয়েছেন, আগামীতে তারা আর সেই খেসারত দিতে চাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন।

অনেকেই মন্তব্য করেছেন, তারা অতীতের ভুল সিদ্ধান্তের আর পুনরাবৃত্তি করতে চান না। গত ৫ বছর বিএনপির মেয়র আহসান হাবিব কামাল উন্নয়ন কর্মকা-ে তেমন কোনো ভূমিকা রাখতে না পারায় শ্রী-বৃদ্ধি হারিয়ে বরিশাল শহর আবার পুরনো খানাখন্দের শহরের রূপে ফিরে গেছে। ফলে নাগরিক সুবিধা বঞ্চিত নগরবাসীকে সীমাহীন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। বিএনপির এ মেয়রের সীমাহীন ব্যর্থতায় শ্রী-হীন হয়ে পড়া বরিশাল শহরকে হিরন’র বরিশালের রূপে ফিরিয়ে আনতে নগরবাসী হিরন’র মতো একজন যোগ্য নগর অভিভাবক দীর্ঘদিন ধরে খুঁজে ফিরছিলেন। অপেক্ষায় ছিলেন ভোটের। অবশেষে ৩০ জুলাই কাঙ্খিত সেই সিটি ভোট। মাঠের বিরোধীদল বিএনপির মেয়র প্রার্থী বিজয়ী হলে কোনো যে উন্নয়ন হয় না এবং ভবিষ্যতেও হবে না- জনমনে এই বাস্তব উপলব্ধি সৃষ্টি ও প্রমাণ করে দিয়েছেন সদ্য সাবেক মেয়র আহসান হাবিব কামাল। তার ব্যর্থতা আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীর বিজয়ের পথকে কুসুমাস্তীর্ণ ও বিএনপির প্রার্থীর পথকে কণ্টকাকীর্ণ ও পিচ্ছিল করে দিয়েছে। সরকার দলের প্রার্থী বিজয়ী হলে বরিশালের ব্যাপক উন্নয়ন হবে- ভোটারদের মাঝে এ ধারণা ও উপলব্ধি সৃষ্টি হওয়ায় নির্বাচনী সকল হিসাব-নিকাশ ও সমীকরণ পাল্টে গেছে। ভোটাররা চুলচেরা বিশ্লেষণ করে স্থির সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন- সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ মেয়র নির্বাচিত হলে উন্নয়ন কর্মকা-ে তিনি নিজ যোগ্যতার পাশাপাশি বাড়তি সহায়তা ও সুবিধা পাবেন তার ফুফু প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনা ও বাবা প্রভাবশালী মন্ত্রী পদমর্যাদায় পাবর্ত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ কমিটি ও স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ এমপির কাছ থেকে।

যেহেতু স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় থেকে সিটির সিংহভাগ উন্নয়ন কর্মকা- পরিচালিত হয়, আর সেই মন্ত্রণালয়ের সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন সাদিক আবদুল্লাহ’র গর্বিত পিতা আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ; স্বাভাবিকভাবেই সেখান থেকে বরিশালের উন্নয়নে সর্বোচ্চ বরাদ্দ দেওয়া হবে। পিতা ও পুত্র মিলে হাজার হাজার কোটি টাকার বরাদ্দ এনে বরিশালের উন্নয়নের অতীত সকল রেকর্ড ভেঙে দিতে পারবেন বলে সচেতন মহল মনে করছে। এছাড়া বরিশালকে সাজাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র বিশেষ নজর ও উদ্যোগ রয়েছে। এই উদ্যোগকে আরও বেগবান করতে সাদিক’র মতো নিজ রক্তের বন্ধনের উত্তরসূরী খুঁজে পেতে শেষ পর্যন্ত দলীয় মনোনয়নে সাদিক’র ওপরই আস্থা ও ভরসা রেখেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী ফুফু, মন্ত্রী বাবা ও সাদিক নিজে মেয়র নির্বাচিত হলে এ তিন রক্তের বন্ধনের যৌথ উদ্যোগ ও উন্নয়ন পরিকল্পনায় বরিশাল শহর শুধু “প্রাচ্যের ভেনিস” নয়, “আধুনিক সিঙ্গাপুর” শহরে রূপ নেবে এমনটিই ধারণা অভিজ্ঞ সচেতন মহলের। সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত এ মেয়র প্রার্থী নির্বাচিত হলে “আলোকিত এক তিলোত্তমা” নগরীতে রূপান্তর করে অতীতের সব উন্নয়ন রেকর্ড ভেঙে দিয়ে চমক সৃষ্টি করতে পারবেন বলে অভিজ্ঞ মহলের ধারণা। বংশ পরম্পরায় সাদিক’র ধমনীতে বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’র রক্ত প্রবাহিত।

স্বল্প সময়ের মধ্যে তিনি নিজের মেধা, প্রজ্ঞা ও রাজনৈতিক দূরদর্শিতা দিয়ে পাদ প্রদীপের আলোয় উঠে আসা এক “উদীয়মান সূর্য”। যার আলোয় “আলোকিত” বরিশালের আওয়ামী রাজনীতির অঙ্গন। দীর্ঘদিন ধরে বরিশালবাসীর পাশে থেকে তাদের সুখ-দুঃখের সারথী হয়ে অনেক আগেই সাদিক তাদের মনের মনিকোঠায় স্থান করে নিয়েছেন। বিশেষ করে তরুণ ও যুব সমাজের অকৃত্রিম বন্ধু হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে তাদের আস্থা ও ভালোবাসার প্রতীক হয়েছেন। অর্জন করেছেন “যুব রতেœর“ খ্যাতি। তরুণ ভোটাররা তাদের পচ্ছন্দের শীর্ষে রেখেছেন সাদিক আবদুল্লাহ-কে। তার জনপ্রিয়তা

শুধু বরিশাল সিটি এলাকায়ই নয়, গোটা দক্ষিণাঞ্চলজুড়ে রয়েছে। তার সব কিছুর মধ্যেই বংশের পূর্বসূরীদের সততা, নিষ্ঠা ও আদর্শ খুঁজে পাওয়া যায়। এদিকে স্বাধীনতার পরে বরিশাল অঞ্চলে দৃশ্যমান যতো বৃহৎ উন্নয়ন কর্মকা- হয়েছে তার শুরুটা করেছিলেন তৎকালীন বঙ্গবন্ধু সরকারের সৎ রাজনীতির পথিকৃৎ ও প্রভাবশালী মন্ত্রী শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত এবং ১৯৭৩ সালে বরিশাল পৌরসভার প্রথম মেয়র নির্বাচিত হওয়ার মধ্য দিয়ে অদ্যাবধি তা অব্যাহত রেখেছেন তার সুযোগ্য পুত্র মন্ত্রী আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ।

দাদা ও বাবার পদাঙ্ক অনুসরণ করে স্বাভাবিকভাবেই বাকী স্বপ্ন পূরণে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারবেন ঐতিহ্য ও গৌরবের “যোগ্য উত্তরাধিকার” সাদিক আবদুল্লাহ। এদিকে মানুষের ঢল নামা গতকালের ওই পথসভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় তথ্য-গবেষণা সম্পাদক অ্যাড. আফজাল হোসেন, নগর আওয়ামী লীগ সভাপতি গোলাম আব্বাস চৌধুরী দুলাল, যুবলীগের কেন্দ্রীয় সহ-সম্পাদক মিজানুর রহমান প্রমুখ।

সম্পর্কিত পোস্ট

বরিশালে যুবলীগ কর্মীর তাণ্ডব: মা-মেয়েকে কুপিয়ে জখম

banglarmukh official

সাতলায় বিএনপির সভাপতি-সম্পাদকের বিরুদ্ধে আ’লীগ নেতা মিজানকে অর্থের বিনিময়ে দলীয় সনদপত্র প্রদান করার অভিযোগ

banglarmukh official

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গ্রাম পুলিশের বসত ঘরে ভাংচুর

banglarmukh official

এসএসসি পরীক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ উপহার দিলো ছাত্রদল

banglarmukh official

আইন-বিধি মেনে কাজের গতি বাড়ানোর তাগিদ

banglarmukh official

মাগুরায় ধর্ষণের শিকার সেই শিশু মারা গেছে

banglarmukh official