প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফরের সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী অর্থনীতি ফোরামের দাওয়াতে গেছেন, চীনের সরকারের দাওয়াতে যান নাই।
তিনি বলেন, আমরা খুব খুশি হতাম তিনি যদি রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে চীনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বসে সমস্যা সমাধানের কাজটি করতেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) আয়োজিত চিকিৎসকদের প্রতিবাদী সমাবেশে তিনি এসব বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরের বিষয়ে ফখরুল বলেন, প্রধানমন্ত্রী একটা অর্থনীতি ফোরামের দাওয়াতে গেছেন, চীনের সরকারের দাওয়াতে যান নাই। আমরা খুব খুশি হতাম তিনি যদি রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে চীনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বসে সমাধানের কাজটি করতেন। কিন্তু তিনি তা করছেন না। তিনি চুক্তি করেছেন, মেগা প্রজেক্ট, মেগা দুর্নীতির চুক্তি।
দুই যুগ আগে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনাকে বহনকারী ট্রেনে গুলির ঘটনায় ৯ জনকে ফাঁসি আদেশে ক্ষোভ প্রকাশ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, পাবনায় যে রায় দেওয়া হয়েছে, এতে গোটা জাতি বিস্মিত হয়েছে। ২৪ বছর আগে ট্রেনে দুটি গুলি ছোড়ার ঘটনা ঘটেছে। কে ছুড়েছে, কয়টি ছুড়েছে তার কোনো প্রমাণ নেই। অথচ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ৯ জনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, এই রায়ে আমরা শুধু হতাশ নই বিক্ষুব্ধ। এই রায়ের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে এ দেশে স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা নেই।
এ সময় তিনি বলেন, ট্রেনে গুলি ছোড়ার ঘটনায় বিএনপি নেতাদের সাজা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ওই দিন আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের গোলাগুলির ঘটনার ট্রেনে এ গুলি লাগে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নেতারা সব সময় বলে বিএনপির জন্ম ক্যান্টনমেন্টে। তারা ক্যান্টনমেন্টের দল। কিন্তু তারা একবারও বলে না এরশাদের আমলে দীর্ঘ নয় বছর আন্দোলনের মধ্য দিয়ে খালেদা জিয়া রাজনীতিতে এসেছেন।
প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ঘোষণা করেছিলেন- এরশাদের অধীনে নির্বাচনে যে যাবে সে হবে জাতীয় বেইমান। কয়েক দিন পরে তিনি এরশাদের অধীনে নির্বাচনে গিয়েছেন। আমরা এগুলো ভুলে যাইনি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, খালেদা জিয়া সব সময় জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করেছেন। এখনো তিনি করে যাচ্ছেন। এখন যে কারাগারে আছেন এটাও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণ করে মাত্র চারটি পত্রিকা রেখে আর সব বন্ধ করে দিয়েছিল। পরবর্তীতে জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে সব পত্রিকা খুলে দিয়েছিলেন।
সব সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান সরকার গ্রহণ করছে অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, নির্বাচন কমিশনের প্রতি মানুষের আর কোনো আস্থা নেই। একটা নির্বাচনও তারা সুষ্ঠু করতে পারেননি।
ড্যাবের আহ্বায়ক প্রফেসর ডা. ফরহাদ হালিম ডোনারের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, ড্যাবের নবনির্বাচিত সভাপতি হারুন আল রশীদ, মহাসচিব ডা. আবদুস সালাম, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব ডা. ওবায়দুল কবির খান, নবনির্বাচিত কোষাধ্যক্ষ ডা. জহিরুল ইসলাম শাকিল, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ডা. মেহেদী হাসান প্রমুখ।