28 C
Dhaka
জুলাই ৭, ২০২৫
Bangla Online News Banglarmukh24.com
অপরাধ জেলার সংবাদ রাজণীতি

শিবিরকে চাঁদা দিতেন মাসে ১০০০, এখন আওয়ামী ফোরামের সেক্রেটারি

অনলাইন ডেস্ক :

স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র সংগঠন ছাত্রশিবিরকে মাসে ইয়ানত (চাঁদা) দিতেন ১ হাজার টাকা। জামায়াতের সক্রিয় সদস্যও ছিলেন। একসময় বিএনপির রাজনীতিও করেছেন। অথচ তিনিই এখন আওয়ামীপন্থী প্রগতিশীল শিক্ষক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক।

দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) প্রগতিশীল শিক্ষক ফোরামের নেতৃত্বে আসার পর থেকেই অধ্যাপক ড. এস এম হারুন-উর-রশিদ ক্যাম্পাস অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সাবেক এক ভিসি এবং বহিরাগতদের সঙ্গে নিয়ে প্রগতিশীল শিক্ষক ফোরামের এ নেতা প্রশাসনবিরোধী অবস্থান নিচ্ছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।

হাবিপ্রবির প্রশাসনের এক কর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘নানা কারণেই গত এক দশকে এ ক্যাম্পাসে শিক্ষার পরিবেশ বিঘ্নিত হয়েছে। নিজেদের মধ্যকার সংঘর্ষে ছাত্রলীগের দু’জন কর্মী খুন হয়েছেন এখানে। মাসের পর মাস ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় এখানকার শিক্ষা কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে। ১১ হাজার দেশি-বিদেশি শিক্ষার্থীর মাঝে গবেষণা কার্যক্রম নিয়েও হতাশা দেখা দিয়েছিল। সরকার এ বিশ্ববিদ্যালয়ের গতি ফিরিয়ে আনতে বদ্ধপরিকর। প্রশাসনের শত চেষ্টায় ক্যাম্পাস এখন শান্ত। অথচ একটি মহল ফের ষড়যন্ত্র করছে, যার নেতৃত্বে আছেন প্রগতিশীল শিক্ষক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সাবেক জামায়াত নেতা হারুন-অর-রশিদ।’

সূত্র জানায়, হাবিপ্রবির সাবেক উপাচার্য রুহুল আমিনের আশীর্বাদপুষ্ট ড. এসএম হারুন-উর-রশিদ গত ২৭ জুন কাউন্সিলের মাধ্যমে প্রগতিশীল শিক্ষক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মনোনীত হন। আওয়ামীপন্থী এ ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মনোনীত হওয়ার পরই অধ্যাপক হারুনের পূর্বের রাজনৈতিক পরিচয় সামনে আসতে থাকে। তিনি মনোনীত হওয়ায় অবাক হন ক্যাম্পাসের আওয়ামীপন্থী অন্য শিক্ষকরাও।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অধ্যাপক হারুন-উর-রশিদের বাড়ি দিনাজপুরের চিরিরবন্দরের নন্দীরাই গ্রামে। ছাত্রজীবনে তিনি শিবিরের রাজনীতি করতেন। পারিবারিকভাবেও জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গেও জড়িত ছিলেন তিনি।

২০০৭ সালে ১৭ মে স্বাক্ষরিত বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর অ্যাসোসিয়েট সদস্য ফোরামে তার নাম-ঠিকানা সবই রয়েছে। ওই ফরমে যে মোবাইল নম্বরটি উল্লেখ করেন তা এখনও অধ্যাপক হারুন ব্যবহার করছেন।

বর্তমানে আওয়ামীপন্থী এ শিক্ষক নেতা একসময় ছাত্রশিবিরকে মাসিক ১ হাজার টাকা করে চাঁদা দিতেন। বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের মশিউর রহমান রাজু স্বাক্ষরিত এমনই একটি চাঁদার রশিদ পাওয়া গেছে, যার ক্রমিক নম্বর ৩৬৭৩৭৭।

আওয়ামী লীগ এবং জামায়াতের রাজনীতি করলেও অধ্যাপক হারুন-উর-রশিদ এক সময় বিএনপি থেকেও সুবিধা নিয়েছেন। ২০০৫ সালের ২০ জুন বিএনপির চিরিরবন্দর উপজেলা সভাপতি মুজিবুর রহমান স্বাক্ষরিত একটি প্রত্যায়নপত্রে বলা হয়, ‘এ মর্মে প্রত্যায়ন করা যাইতেছে যে, জনাব বাছেদ মুহুরি (অধ্যাপক হারুন-উর-রশিদের বাবা) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী এবং দলের একজন বিশ্বস্ত কর্মী। তিনি ৫ নম্বর আব্দুলপুর ইউনিয়নের ওয়ার্ড মেম্বার ছিলেন। তার পুত্র মোত্তালেব এবং হারুন-উর-রশিদ জাতীয়তাবাদী দলের দক্ষ কর্মী।’

হাবিপ্রবির প্রশাসনের শীর্ষ এক কর্মকর্তা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যখন দলে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বদ্ধপরিকর, তখন দিনাজপুরের এক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব জামায়াত-বিএনপির নেতাদের দলে ঠাঁই দিচ্ছেন। এতে আওয়ামী লীগের মধ্যকার সাংগঠনিক ভারসাম্য বিঘ্নিত হচ্ছে। এর প্রভাব আমরা হাবিপ্রবি ক্যাম্পাসেও প্রত্যক্ষ করছি।’

হাবিপ্রবির প্রগতিশীল শিক্ষক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় তার মন্তব্য জানতে। তবে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে মন্তব্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন তিনি।

সম্পর্কিত পোস্ট

এসএসসি পরীক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ উপহার দিলো ছাত্রদল

banglarmukh official

মাগুরায় ধর্ষণের শিকার সেই শিশু মারা গেছে

banglarmukh official

শিশু আছিয়ার জানাজায় অংশ নিতে মাগুরায় মামুনুল-হাসনাত-সারজিস

banglarmukh official

সোলাইমান সেলিম-জ্যোতি তিনদিনের রিমান্ডে

banglarmukh official

চাচা ডেকে সাবেক প্রতিমন্ত্রী এনামুরকে বিয়ে করেন ফরিদা

banglarmukh official

অটোরিকশায় ছাত্রীর সঙ্গে অশোভন আচরণ, ভিডিও ভাইরাল

banglarmukh official