29 C
Dhaka
জুলাই ৫, ২০২৫
Bangla Online News Banglarmukh24.com
বিনোদন

বাংলা চলচ্চিত্রের দর্শকপ্রিয় জুটি রাজ্জাক-কবরী

বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি নায়ক রাজ্জাকের আজ দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী। চলচ্চিত্র কেরিয়ারে তিনি জুটিবেঁধে অভিনয় করেছেন অনেক নায়িকার বিপরীতে। কিন্তু রাজ্জাক-কবরী জুটি ছিল সবসময়ের আলোচিত ও সমালোচিত জুটি। ১৯৬৭ সালে সুভাষ দত্তের পরিচালনায় ‘আবির্ভাব’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে অভিষেক ঘটে রাজ্জাক-কবরী জুটির। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি এ জুটিকে। তারা একের পর এক উপহার দেন ব্যবসাসফল চলচ্চিত্র।

‘রংবাজ’ রাজ্জাক-কবরী জুটির সেরা ব্যবসাসফল চলচ্চিত্র। একইসঙ্গে এটি বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ইতিহাসে একটি মাইলফলকও। ১৯৭৩ সালে মুক্তি পাওয়া এটিই বাংলাদেশের প্রথম অ্যাকশনধর্মী চলচ্চিত্র। এছাড়া ‘রংবাজে’র মাধ্যমে একজন প্রযোজক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন রাজ্জাক। এ চলচ্চিত্রের ‘সে যে কেন এলো না, কিছু ভালো লাগে না’ গানটি এখনও মানুষের মুখে মুখে।

দর্শক ভালোবাসায় কবরী খেতাব পান ‘মিষ্টি মেয়ে’। প্রেমিক-প্রেমিকা জুটি হিসেবে বেশ সুনাম কুড়ান রাজ্জাক-কবরী জুটি। তারা একসঙ্গে ৬০টিরও বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। এরমধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ‘পরিচয়’, ‘অধিকার’, ‘নীল আকাশের নিচে’, ‘ময়নামতি’, ‘ঢেউয়ের পর ঢেউ’, ‘বেঈমান’ ও ‘অবাক পৃথিবী’।

বলা যায়, বাংলা চলচ্চিত্র জগতের নক্ষত্রসম প্রেমিকজুটি ছিলেন রাজ্জাক-কবরী। তাদের মুখের প্রেমময় সংলাপকে পর্দার এপাশের সব প্রেমিক প্রেমিকারা সবসময়ই নিজের বলে গ্রহণ করেছেন। নিজেদের জীবনের আবেগীয় মুহূর্তে সেসব সংলাপ প্রয়োগ করেছেন। এমনকি অনেকে এখনো করে থাকেন। পৌরুষদীপ্ত চেহারার নায়ক রাজ্জাক আর মিষ্টি হাসির মধু ছড়ানো কবরীর চলচ্চিত্রগুলোকে অনুসরণ করেই কাটিয়ে দেয়া যায় জীবনের বর্ণিল সব হলুদ বসন্ত।

রাজ্জাক-কবরী জুটির প্রেমপর্যায়ের মাধুর্যময় সংলাপগুলো একসময় প্রেমিকদের মুখস্ত ছিল। আর প্রেমিকারা তো সবসময়ই পছন্দ করেন প্রিয় মানুষের কাছ থেকে ভালোবাসার প্রকাশ দেখতে। সুতরাং দুইয়ে দুইয়ে চার। প্রেমের সুখ অথবা খুঁনসুটি দুটোই দুর্দান্ত করে ফুটিয়ে তুলেছেন স্বর্ণযুগের দুই কিংবদন্তির অভিনয় শিল্পী রাজ্জাক-কবরী।

‘স্মৃতিটুকু থাক’ চলচ্চিত্রের মনতো ছোঁয়া যাবে না অথবা ‘আবির্ভাবে’র আমি নিজের মনে নিজেই যেন গোপনে ধরা পড়েছি অথবা ‘নীল আকাশের নীচে’র প্রেমের নাম বেদনা, সে কথা বুঝিনি আগে/দুটি প্রাণের সাধনা কেন যে বিধুর লাগে। এসব গান সময়ের সঙ্গে কি কখনো যায়নি আমাদের! আমরা সবসময় সময়ের আবেদন মেনে চলতে পছন্দ করি। কোন গানটা ভালো লাগবে আর কোনটা না, সময়ই কিন্তু আমাদের মনকে উসকে দেবে।

মন ভালো থাকলে কতো রকম সুন্দর স্মৃতি মনের মাঝে লুটোপুটি খায়। সেই আবেদন অন্য কোথাও থেকে ধার করার কোনো প্রয়োজন হয়নি কখনো প্রেমিকযুগলদের।  সামনেই রাজ্জাক-কবরীর গানে তার অনবদ্য প্রকাশ। আবার মন খারাপের একেকটা দিন যখন নিকষ কালো মেঘলা লাগে, তখনো হাত ধরে পথ দেখান রাজ্জাক-কবরী জুটি। বাঙালি মাত্রই রাজ্জাক-কবরী জুটির অপূর্ব আবেদনে আবেগে আপ্লুত।

প্রেম শুধু কথার ফুলঝুরি নয়, নয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফোনালাপ, ভার্চুয়াল জগতের চ্যাটিং কিংবা প্যানপ্যানানি নয়।  একটুখানি চোখের পলকেই প্রেমের অসাধারণ প্রকাশ সম্ভব। মিনিটেই অনেক কিছু বোঝানো সম্ভব কিছু না বলেই। হৃদয়খানি তো চোখের মধ্যেই উছলে পড়ে! এসব মানসিক ব্যাপার রাজ্জাক-কবরী জুটির প্রেম থেকেই বাঙালিরা শিখে নিয়েছেন।  বাঙালিরা কিন্তু বলতে গেলে মহাপ্রেমিক জাতি। যেটুকু সমস্যা আছে সেটা হলো প্রকাশহীনতায়। কাব্যিক মন কি আর সব প্রেমিকমাত্রই থাকে! সুতরাং পথ হাতড়ে বারবার সেই একই পথে পা রাখতে হয়।

চলচ্চিত্রের পথে চলতে চলতে রাজ্জাক-কবরী জুটি নিজেরাও একসময় নিজেদের ভেতর হারিয়ে যান। সেসব খবর এখনো মানুষকে কৌতুহলী করে তোলে। হয়তো সেকারণেই চলচ্চিত্রে এমন দ্বিধাহীনভাবে পুর্ণাঙ্গ আবেদন প্রকাশ করতে পেরেছেন। যেটাকে তাদের একান্ত নিজের বলে ভেবে ভুল করেছেন অনেকেই। তারপরও কথা তো থেকেই যায়।

সবই কি আসলে অভিনয়ই ছিল! কিছুই কি তবে হৃদয়ের লেনদেন নয়! পাঠক সেসব উত্তর আপনারা খুঁজতে থাকুন। উত্তর খুঁজে না পেলেও আমরা পেয়েছি তাদের অনবদ্য কিছু কাজ। এর বেশি আর কি চাই!

সম্পর্কিত পোস্ট

জয়া যেন উঠতি বয়সি তরুণী, ভাইরাল ভিডিও

banglarmukh official

বিয়ের পর ফের সুখবর পেলেন মেহজাবীন

banglarmukh official

আত্মহত্যা করেছেন জনপ্রিয় মার্কিন অভিনেত্রী পামেলা

banglarmukh official

বোরকা নিয়ে সানা-সম্ভাবনার বিতণ্ডা

banglarmukh official

শাহিদের সঙ্গে সম্পর্ক ভাঙার কারণ জানালেন কারিনা

banglarmukh official

মিমির অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে সামাজিক মাধ্যমের যা বললেন অভিনেতা

banglarmukh official