30 C
Dhaka
জুলাই ৩, ২০২৫
Bangla Online News Banglarmukh24.com
জেলার সংবাদ বরিশাল

ঈদ আনন্দ থেকে বঞ্চিত বরিশালের সেই এতিম শিশুরা!

আর মাত্র ৩ দিন বাকি কোরবানী ঈদের। সবাই মার্কেটে ভীড় করছে ছেলে মেয়েদের নতুন পোষাক কিনে ঈদে পড়ার জন্য। এদিকে এতিম শিশুরা অবহেলিত রয়ে গেছে। এতিম শিশু নাঈম কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন,আমার মা-বাবা কেউ বেঁচে নেই। আমি এতিম। তাই কেউ আমার মত এতিমকে একটি নতুন পোষাকও কিনে দেন না। ছেড়া কাপড়ই আমাদের নতুন পোষাক। ডাল-ভাত এটাই আমাদের ঈদের খাবার।

এই কথা গুলো বলেন বরিশাল নগরের পলাশপুর ৫ নং ওয়াড ৭ নং আর্দশ গুচ্ছগ্রাম মধ্য কালভার্ট সংলগ্ন রহমানিয়া কেরাতুল কোরআন হাফিজি ও মাদ্রাসা লিল্লাহ বোডিংটি শতাধিক এতিম শিশুরা।

অর্থের সহযোগীতা না পাওয়ায় ছাত্রদের নিয়ে পথে পথে কেঁদে বেড়াচ্ছে মাদ্রাসার পরিচালক নুরুল ইসলাম ফিরোজী। অন্য দিকে এতিম শিশুরা কেঁদে কেঁদে বলেন, আমাদের কেউর মা নেই। আবার কেউর বাবা নেই। তাই আমরা ঈদ কোরবানীর নতুন পোষাকের মূখ দেখতে পাচ্ছিনা। আমাদের নতুন পোষাক দেওয়ার মত কেউ নেই। ধনি ব্যাক্তিরা মাদ্রাসায় খাবার চাল-ডাল দিলেও আমাদের ঈদ-কোরবানীতে নতুন পেষাক থেকে বঞ্চিত ছাড়া কিছুই জুটেনা।

সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, প্রায় শতাধিক এতিম গরীব রয়েছে এই মাদ্সায় কিন্তু তারা কোন সরকারী বেসকারী প্রতিষ্ঠান থেকে অর্থের সহযোগীতা না পাওয়ার কারনে কোরবানীতে পোষাক ও খাবার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে জানায় স্থানীয়রা।

এতিম ছাত্ররা আরো জানায়, আমরা গরীব ঘরের ছাত্র দেখে আমাদের স্থান হয়েছে এতিম খানায়। আর যারা ধনি বংশে জম্ম নিয়েছে তারা চলে গাড়িতে খাচ্ছে তিন বেলাই পোলাউ মাংস বিরানী। আমাদের এতিম খানায় এতিমের খোঁজ রাখেনা কেউ। ঈদ যায় কোরবানী যায় কিন্তু আমাদের গায়ে থাকে পুরান জামা। যার বাবা মা আছে তারা একটা না একটা নতুন পোষাক পরে। আমাদের বাবা ও মা না থাকার কারনে আমাদের গায়ে উঠেনা নতুন পোষাক। মাদ্রাসায় কেউ যদি মাছ ও মাংস অথবা টাকা পায়সা দান করে তাথলে আমাদের এতিমদের কপালে ভালো কিছু ভাগে পরে।

মাদ্রারায় গিয়ে জানা গেছে, কয়েক জন এতিম শিশুর জীবন কাহিনীর গল্প। দেখা গেছে কি ভাবে তাদের জীবন কাটাচ্ছে মাদ্রারায়। এতিম শিশু সাব্বির,নাঈম,রুম্মানসহ এতিমরা জানায়, আমার বাবা মা কেউই এই পৃথিবীতে বেঁচে নেই, শুধু রয়েছে নানু তাই আমার ঠিকানা হয়েছে এতিম খানায়। মা-বাবা বেঁচে থাকলে নতুন পোষাক ও ভালো খাবার দিতেন আমাকে এনে। নেই বলে তিন বেলার যখন যে খাবার পাই তাই খাই ।

মাদ্রাসার পরিচালক নুরুল ইসলাম ফিরোজী বলেন, আগে মাদ্রাসায় জায়গা ছিলো না ছাত্রদের থাকতে হতো। সাংবাদিক ভাইরা বিভিন্ন পত্রিকায় মাদ্রাসার সমস্যা গুলো তুলে ধরায় চোখে পড়েন দক্ষিনঞ্চলের অভিবাভক মন্ত্রী আবুল হাসানত আব্দুল্লাহ সাহেবের। পরে তিনি জেলা পরিষদের মাধ্যমে জমি কিনে ভবন করে দেন এতিম শিশুদের থাকার জন্য। আল্লাহ তালা তাকে বাঁচিয়ে রাখুক আমাদের মত এতিমদের জন্য।

তিনি আরো বলেন, মাদ্রাসার কাজ চলছে। দ্বিতীয় তলার ছাদ ঢালার জন্য জরুরি ভাবে প্রয়োজন রড,সিমেন্ট,ইট,বালু অর্থের অভাবে কাজ শেষ করতে পারছিনা। দ্বীন দরদী ভাই বোনদের খেদমতে এই যে মাদ্রাসায় চাল,কাপর,অর্থ, যাকাত, ফিৎরা,মান্নত, কোরবানীর চামরা দান করলে ছাত্রদের নিয়ে মাদ্রাসাটি চলাতে বেশি একটা সমস্যা হয়ে দারাতো না। কিন্তু কোন ব্যাক্তি এই এতিম শিশু গুলোর দিকে একটু নজর অথবা অর্থের সহযোগীতা করছেনা।

ফিরোজী জানায়,দানশীল ব্যক্তিরা এই মাদ্রাসার এতিম গরীব ছাত্রদের মুখে দিকে তাকিয়ে একটু দান করেন। কোরবানীতে এতিম ছাত্রদের খাবার ,কাপড়, অর্থ দিয়ে সকলের সহযোগীতা একান্ত ভাবে কাম্য। সহযোগীতা করার জন্য যোগাযোগ করুন মাদ্রাসার বিকাশ নাম্বার ০১৯২৪৬১২৯১৮ অথবা মাদ্রাসার ব্যাংক একান্ট নাম্বারে পাঠাতে পারেন আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক বরিশাল শাখা এ্যাকাউন্ট ০১০১১২০১২৬৪৫৪।

সম্পর্কিত পোস্ট

বরিশালে যুবলীগ কর্মীর তাণ্ডব: মা-মেয়েকে কুপিয়ে জখম

banglarmukh official

সাতলায় বিএনপির সভাপতি-সম্পাদকের বিরুদ্ধে আ’লীগ নেতা মিজানকে অর্থের বিনিময়ে দলীয় সনদপত্র প্রদান করার অভিযোগ

banglarmukh official

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গ্রাম পুলিশের বসত ঘরে ভাংচুর

banglarmukh official

এসএসসি পরীক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ উপহার দিলো ছাত্রদল

banglarmukh official

মাগুরায় ধর্ষণের শিকার সেই শিশু মারা গেছে

banglarmukh official

শিশু আছিয়ার জানাজায় অংশ নিতে মাগুরায় মামুনুল-হাসনাত-সারজিস

banglarmukh official