আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীদের চাপ সামলাতে বরিশাল-ঢাকা নৌপথে ২৩টি নৌযান বিশেষ সার্ভিস দেবে। সেই সঙ্গে রাষ্ট্রীয় নৌযান সংস্থা বিআইডব্লিউটিসির দুটি নৌযান ঈদের বিশেষ সার্ভিস দেবে বলে জানা যায়।
সরকারি-বেসরকারি এসব নৌযান ঢাকা-বরিশাল পথে আগামী ৮ ই আগস্ট থেকে বিশেষ সার্ভিস দিতে শুরু করবে এবং তা ২০ আগস্ট পর্যন্ত চলবে।
বিআইডব্লিউটিসি সূত্রে আরও জানা যায়, রাষ্ট্রীয় নৌযান সংস্থার নৌযানগুলো বিশেষ সার্ভিস শুরু করবে ৮ আগস্ট থেকে।
এবার ঈদের আগে ও পরে একদিন করে দুটি করে নৌযান রাখা হয়েছে। সংস্থার পাঁচটি নৌযান যথাক্রমে এমভি মধুমতি, এমভি বাঙ্গালি, পিএস মাহসুদ, পিএস লেপচা এবং পিএস টার্ন ঈদের বিশেষ সার্ভিসে যাত্রী পরিবহন করবে।
লঞ্চগুলো ঢাকা-বরিশাল-ঝালকাঠি-হুলারহাট (পিরোজপুর)-মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট) পর্যন্ত চলবে। ঈদের আগে ১০ আগস্ট ঢাকা থেকে দুটি লঞ্চ পিএস মাহসুদ এবং পিএস লেপচা চলবে। পরদিন ১১ আগস্ট মাহসুদ মোরেলগঞ্জ পর্যন্ত এবং লেপচা বড় মাছুয়া পর্যন্ত যাত্রী নিয়ে যাবে। পরে লেপচা বড়মাছুয়া থেকে ফিরে বরিশাল নৌবন্দরে অবস্থান করবে।
ঈদের পর ১৬ আগস্ট বিশেষ সার্ভিস হিসেবে বরিশাল থেকে দুটি লঞ্চ যাত্রী নিয়ে ঢাকায় যাবে। লঞ্চ দুটি হলো এমভি বাঙ্গালি ও পিএস লেপচা।
বিআইডব্লিউটিসির বরিশালের উপ-মহাব্যবস্থাপক সৈয়দ আবুল কালাম আজাদ বলেন, ঈদের বিশেষ সার্ভিস নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে লঞ্চের শিডিউল ঘোষণা করা হয়েছে।
বেসরকারি লঞ্চ মালিক সূত্রে জানা যায়, আগামী ৮ আগস্ট ঢাকা থেকে বরিশাল-ঢাকা নৌপথে সরাসরি ২৩টি নৌযান বিশেষ সার্ভিস শুরু করবে। এর মধ্যে দিবা সার্ভিসে চলাচলকারী গ্রীন লাইনের দুটি লঞ্চ রয়েছে। যাত্রী চাপ থাকলে প্রয়োজনে লঞ্চের সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে।
বরিশাল নৌবন্দর থানা পুলিশের ওসি আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, নদী বন্দরে সার্বিক নিরাপত্তায় পোশাকধারীর পাশাপাশি সাদা পোশাকেও পুলিশ সদস্যরা নিয়োজিত থাকবেন। নারী যাত্রীদের শ্লীলতাহানি, অজ্ঞান পার্টি, ছিনতাইকারীসহ দুষ্কৃতকারীদের প্রতিরোধে সতর্ক অবস্থানে থাকবে পুলিশ। যাত্রীদের ভোগান্তি ও নিরাপত্তায় বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে।