সড়ক পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা জোরদার ও দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে ১১১টি সুপারিশ করেছে এ সংক্রান্ত কমিটি।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় কমিটির সভাপতি সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খানের নেতৃত্বে সুপারিশমালা পেশ করা হয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, গত ১১ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিলের ২৬ তম সভায় সড়ক পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা জোরদার এবং দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে সুপারিশ প্রণয়নের জন্য ১৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য শাহজাহান খানকে এ কমিটির প্রধান করা হয়। পরবর্তী সময়ে আরও ৮ জন সদস্যকে কো-অপ্ট করা হয়।
তিনি বলেন, কমিটি পরপর ৭টি সভার মাধ্যমে দুর্ঘটনার কারণ চিহ্নিত এবং সুপারিশমালাসহ প্রতিবেদন চূড়ান্ত করে। প্রতিবেদনে মোট ১১১টি সুপারিশ করা হয়েছে। এর মধ্যে আশু করণীয় ৫০টি, স্বল্প মেয়াদী ৩২টি এবং দীর্ঘ মেয়াদী ২৯টি সুপারিশ।
কমিটির প্রতিবেদনে দুর্ঘটনার প্রধান প্রধান কারণগুলো উল্লেখ করা হয়েছে জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, সড়ক ও সড়কে চলাচলের পরিবেশ, অদক্ষ চালক, ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, চালকের অসর্তকতা, সড়ক নির্মাণে প্রকৌশলগত ত্রুটি, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও অধীনস্থ দপ্তর/সংস্থার মধ্যে দায়িত্ব পালনে অনীহা, যানবাহন ও সড়ক ব্যবহারকারী তথা চালক, যাত্রী ও পথচারীসহ সবার অসচতেনতা, সড়কের পাশে বসবাসরত জনগণের অসচতেনতা ইত্যাদি।
প্রতিবেদনে করা সুপারিশগুলো হলো- সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ক সচেতনতা ও শিক্ষা, প্রচার-প্রচারণা, মহাসড়কের প্রকৌশলগত বিষয়াদি, কারিগরি দিক, রাস্তার উপর বিভিন্ন স্থাপনা ও রাস্তার দু’পাশে বৃক্ষরোপণ, হাট-বাজার ব্যবস্থাপনা/ইজারা, বাস স্টপেজ, বাস-বে, ডিভাইডার, লেন, লেভেল ক্রসিং, মহাসড়কের সঙ্গে গ্রামীণ রাস্তার সংযোগ, ঢাকা শহরের বাস ফ্রাঞ্চাইজিং, ফিটনেসবিহীন লক্কড়-ঝক্কড় যানবাহন ইত্যাদি।
ওবায়দুল কাদের জানান, আগামী ৫ সেপ্টেম্বর জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিলের সভা আহ্বান করে এসব সুপারিশমালা উপস্থাপন করা হবে।
সুপারিশমালা বাস্তবায়নে একটি শক্তিশালী টাস্কফোর্স গঠন করার প্রস্তাবনা রয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এই কমিটির সুপারিশ ও সড়ক পরিবহন আইন আমরা কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করতে চাই। সাধারণত কমিটি গঠনের পর প্রতিবেদন আলোর মুখ দেখে না। তবে এটি তার ব্যতিক্রম।