রেজুয়ানুর রহমান সফেনঃ-
বরিশাল নগরীর বিভিন্ন অলিতে গলিতে বাসা-বাড়িতে থৈ থৈ পানি। গত কয়েকেদিন ধরে বৃষ্টিতে বরিশালের কিছু স্থান জুড়ে হাঁটু পানি কোথাও কোমর সমান পানি উঠে গেছে। এতে করে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ। একই সাথে যানবাহন সংকটে পড়েছেন নগরবাসী। অপরদিকে টানা বর্ষণে বৃষ্টির পানিতে বরিশাল কীর্তনখোলা নদীর পানি বেড়েছে।
নগরীর ও সদর উপজেলার সড়কগুলো কিছুদিন আগে জোড়াতালি দিয়ে ঠিক করলেও আবারও আগের চিত্রই দেখা যাচ্ছে। ফলে সড়কগুলোর করুণ অবস্থার কারণে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সাধাররণ জনগণকে। কিছু জায়গায় জলাবদ্ধতা কমলেও কিছু কিছু জায়গায় পানিবন্দী হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ। ফলে জীবনযাত্রা ব্যহত হচ্ছে। বৃষ্টির পানির সাথে নোংরা পানি এখন একাকার। ড্রেনের ময়লা-আবর্জনা এবং নোংরা পানি এখন রাস্তার উপর।
এদিকে বুধবার রাতে টানা বৃষ্টির ফলে ভেসে যায় পুরো নগরী। বৃষ্টির পানিতে নগরীর গুরুত্বপুর্ণ সড়ক বটতলা টু চৌমাথা, কাকুলির মোর, লঞ্চ ঘাট এলাকা, বেপটিস্ট মিশন,শেরে বাংলা সড়ক, বান্দ রোড, কেটিছি রোড, রাজা বাহাদুর সড়ক, গোরস্থান রোড, বগুড়া রোড,রুপাতলি এলাকা, কালিজিরা এলাকা, লাহার হাট এলাকা, চরআইচা /কর্নকাঠী সহ পুরো সদর উপজেলা, কাউনিয়া এলাকা সহ প্রায় বরিশালের সবকটি রাস্তায় পানিতে তলিয়ে গেছে।
অপরদিকে বরিশালের ঐতিহ্যবাহী কীর্তনখোলা নদীর পানি ব্যাপক হারে বেড়েছে। বালু শ্রমিকরা বালু তোলা বন্ধ রেখেছেন।
নদীর পাশে এলাকাবাসি চরম ভোগান্তিতে পড়ছে। বেড়েছে সাপের আনাগোনা। ইতিমধ্যে ৬ জন কে সাপে কামড়েছে।
নগরীর বটতলা এলাকার গৃহবধু মাজেদা বেগম বাংলার মুখকে জানান, অল্প বৃষ্টি হলেই রাস্তায় পনি জমে। এমনকি ঘরেও পানি ওঠে।
রুপাতলি হাউজিং এলাকার বাসিন্দা মোঃ সাইমুন বলেন, রুপাতলি একটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা দীর্ঘদিন ধরে এই এলাকাটি অবহেলিত।অল্প বৃষ্টিতে সড়ক ব্যবহারের অনুপযোগি হয়ে পড়ে। বিশেষ করে রোগীদের সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।রউফুন আব্দুল্লাহ্ ওহি জানান,,, আব্দুল হামিদ মিয়া সড়কে প্রবেশ মুখে বৃষ্টি হলে পানি জমে যায়। অনেক সময় লাগে সরতে। রাস্তাটি অনেক নিচু । তাই বৃষ্টি হলেই পানি জমে যায়। বাচ্চাদের নিয়ে চরম ভোগান্তিতে আছি। রান্নাবান্না বন্ধ। বাইরে যেতে হলে হাটুর উপরের সমান পানি পেড়িয়ে যেতে হবে।