এপ্রিল ২৮, ২০২৫
Bangla Online News Banglarmukh24.com
প্রচ্ছদ বরিশাল রাজণীতি

গায়ে জ্যাকেট থাকায় গুলিতে আহত হইনি: মেয়র সাদিক

সরকারি বাসভবনে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় বরিশাল সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুনিবুর রহমানকে দায়ী করেছেন বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ।

তিনি দাবি করেন, ‘চালানো গুলিতে আমিও আঘাত পেয়েছি। তবে গায়ে জ্যাকেট থাকায় আহত হইনি। তবে আমার অনেক নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।’

মেয়র বলেন, ইউএনও’র সরকারি বাসভবন এলাকায় জনগণের ব্যবহৃত পুকুর, মসজিদ ও সড়ক রয়েছে। এ কারণে সেখানকার মানুষের চলাচলের সুবিধার্থে ব্যানার-ফেস্টুন অপসারণের নির্দেশনা দেওয়া হয়।

এটা বিসিসির নিয়মমাফিক কাজ। বিসিসির কর্মীরা আমাকে জানান, ব্যানার অপসারণ করতে গেলে ইউএনও তাদের গালিগালাজ করেছেন। তবে তিনি তা করেছেন কিনা আমি নিশ্চিত নই। বিষয়টি জানার পর মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাদের সমস্যার সমাধানে সেখানে পাঠাই।

সাদিক আব্দুল্লাহ অভিযোগ করেন, ‘মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা ঘটনাস্থলে পৌঁছামাত্র তাদের ওপর গুলি ছোড়া হয়। জানতে পেরে আমি দ্রুত সেখানে উপস্থিত হই। আমি যাওয়ার পরও গুলি ছোড়া অব্যাহত ছিল।

তখন আমি হাত উঁচিয়ে আমার পরিচয় দেই। আমি মেয়র মেয়র বলে ডাক-চিৎকার করলেও কেউ কর্ণপাত করেননি। গুলি ছুড়তে থাকলে আমি অল্পের জন্য রক্ষা পাই।

এরপর আমি পুলিশ কমিশনার, র‌্যাবের সিইও, আনসার প্রধানের সঙ্গে মোবাইলফোনে যোগাযোগ করি। আমি শুনেছি তারা ঘটনাস্থলে এসেছিলেন।’

মেয়র বলেন, ‘এভাবে দায়িত্ব পালন করা যায় না। আমার অভিভাবক প্রধানমন্ত্রী এবং আমার বাবা আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ। তারা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। ’

তিনি আরও বলেন, প্যানেল মেয়রসহ দলের নেতাকর্মীরা গুলিবিদ্ধ হয়ে মেডিক্যালে ভর্তি আছেন। তাদেরকে সেখানে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানতে পেরেছি।

কী কারণে এমন ঘটনা ঘটলো, এর উত্তরে মেয়র সাদিক বলেন, আমি মেয়র, আমার প্রশাসনের কাছে কোনও কাজ নেই। আমি নিজে স্বয়ংসম্পূর্ণ। মেয়রের দায়িত্ব নেওয়ার পর তিন বছর অতিবাহিত হয়েছে, এখনও কোনও অনুদান মেলেনি সরকার থেকে।

কিন্তু এরপরও আমি দুর্নীতিমুক্ত বিসিসির কার্যক্রম চালিয়ে আসছি। এটা আমি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলতে পারি। কারো বেতন-ভাতাও বকেয়া নেই। পাঁচ বছরের গ্যরান্টি দিয়ে সড়ক করেছি। এটা কারো সমস্যার কারণ হতে পারে বলে ধারণা করছি।

তবে কার সঙ্গে তার দ্বন্দ্ব সে বিষয়টি এড়িয়ে যান মেয়র।

এদিকে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানান, পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী ও বরিশাল সদর আসনের এমপি জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামিমের সঙ্গে দ্বন্দ্ব রয়েছে সিটি মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদিক আব্দুল্লাহর।

এর জের ধরে বুধবার রাতে প্রতিমন্ত্রীর ছবি সংবলিত ব্যানার-ফেস্টুন অপসারণ করতে গেলে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।

সম্পর্কিত পোস্ট

সাতলায় বিএনপির সভাপতি-সম্পাদকের বিরুদ্ধে আ’লীগ নেতা মিজানকে অর্থের বিনিময়ে দলীয় সনদপত্র প্রদান করার অভিযোগ

banglarmukh official

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গ্রাম পুলিশের বসত ঘরে ভাংচুর

banglarmukh official

এসএসসি পরীক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ উপহার দিলো ছাত্রদল

banglarmukh official

আইন-বিধি মেনে কাজের গতি বাড়ানোর তাগিদ

banglarmukh official

মাগুরায় ধর্ষণের শিকার সেই শিশু মারা গেছে

banglarmukh official

জাতিসংঘ মহাসচিব ঢাকায়

banglarmukh official