বরিশালের উজিরপুর উপজেলার জল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা বিশ্বজিৎ হালদার নান্টু হত্যার ঘটনায় বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে এলাকাবাসী। এ ঘটনায় স্থানীয় কারফা বাজারের ৫টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর এবং একটি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেছে বিক্ষুব্ধরা।
খবর পেয়ে বরিশাল এবং উজিরপুর থেকে ফায়ার সার্ভিস এবং গোয়েন্দা পুলিশ ঘটনাস্থলে যেতে চাইলে পথিমধ্যে তাদের বাধা দেয় স্থানীয়রা। এসময় গোয়েন্দা পুলিশের একটি গাড়িও ভাঙচুর করে তারা। এতে সাংবাদিক ও পুলিশসহ স্থানীয় কয়েক জন আহত হয়েছে।
অন্যদিকে নান্টুকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় সাবেক ইউপি সদস্য পান্না, আইয়ুব আলী ফরাজী, হরষিত রায়সহ ৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার রাতে ওই হত্যাকাণ্ডের পর থেকে শনিবার বিকেল পর্যন্ত ওই ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এছাড়া দায়িত্বে অবহেলার কারণে উজিরপুরের জল্লা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই মো. মিজানকে ক্লোজড করা হয়েছে। এলাকায় র্যাব ও পুলিশের অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
এ ঘটনায় বরিশালের পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম জানান, বিশ্বজিৎ হালদার নান্টু দলের অভ্যন্তরীন কোন্দলে খুন হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। দায়িত্বে অবহেলার কারণে উজিরপুরে জল্লা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই মো. মিজানকে ক্লোজড করা হয়েছে। যে কোনো অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে এলাকায় র্যাব ও পুলিশের অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে । হত্যাকারীদের গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।