উজিরপুর প্রতিনিধি ::
বরিশালের উজিরপুর উপজেলা প্রশাসনের নাকের ডগায় একের পর এক মোটর সাইকেল চুরি সংগঠিত হচ্ছে। চরম আতঙ্কে চালকরা। থানায় জিডি করার পরেও একটি মোটর সাইকেলেরও হদিস মিলছে না।
জানা গেছে, ২ সেপ্টেম্বর সোমবার উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন মসজিদের পাশ থেকে দুপুরে সিসি ক্যামেরার আওতার মধ্য থেকে সকলের চোখকে ফাঁকি দিয়ে চোর সিন্ডিকেট চক্র উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মাইনুল ইসলামের এ্যাপাসি আরটিআর ১৫০ সিসির মোটর সাইকেল চুরি করে পালিয়ে যায়।
কিছুদিন পূর্বে উজিরপুর হাসপাতালের মসজিদের পাশ থেকে স্বাস্থ্য সহকারী মিজানের এ্যাপাসি আর.টি.আই ১৫০সিসি মোটর সাইকেল চুরি করে নিয়ে যায়। একই স্থান থেকে হাসপাতালে চাকুরীরত জুয়েল মৃধার এ্যাপাসি ১৫০ সিসি মোটর সাইকেল চুরি হয়।
এছাড়া সাকরাল গ্রামের শাহিন হাওলাদারের ডিসকোভার ১০০ সিসি মোটর সাইকেল বিএনখান ডিগ্রী কলেজের দক্ষিণ পাশ থেকে , বড়াকোঠা ইউনিয়ন আ’লীগ নেতা খোকন হালদারের ইয়ামাহা ফেজার মোটর সাইকেল উপজেলা চত্তর থেকে , ঔষধ কোম্পানির প্রতিনিধি রিপন ফকিরের প্লাটিনা ১০০সিসি মোটরসাইকেল হাসপাতালের সামনে থেকে , ইচলাদী গ্রামের মোঃ সোহেল হাওলাদারের নিজ বাড়ী থেকে পালসার ১৫০ সিসির মোটর সাইকেল চুরি হয়।
মোটর সাইকেল চুরি হওয়ার পরে সকলেই থানায় জিডিও করেছেন কিন্তু কোন মোটরসাইকেল অদ্যবধি উদ্ধার হয়নি।
তবে স্থানীয় সচেতন মহল জানান, মোটরসাইকেল চুরির সিন্ডিকেট চক্রের সাথে স্থানীয় কোন না কোন প্রভাবশালী মহল জড়িত থাকতে পারে।
এব্যাপারে উজিরপুর মডেল থানার ওসি শিশির কুমার পাল জানান, কিছু অপরিচিত লোকজন সুযোগ বুঝে মোটর সাইকেল চুরি করে থাকে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে চোর শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।
ইতিমধ্যে পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে।