কক্সবাজারের চকরিয়া পৌর বাস টার্মিনাল মাঠে গতকাল বিকেলে আওয়ামী লীগের জনসভা এক পর্যায়ে রূপ নেয় জনসমুদ্রে।
ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে কক্সবাজার অভিমুখে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী সড়কযাত্রার অংশ হিসেবে রবিবার বিকেলে চকরিয়া পৌর বাস টার্মিনাল মাঠের জনসভা জনসমুদ্রে রূপ নেয়। দুপুর থেকেই চকরিয়া, পেকুয়া, মাতামুহুরী সাংগঠনিক উপজেলাসহ বিভিন্ন স্থান থেকে নানা ব্যানার, ফেস্টুন ও বাদ্যযন্ত্র নিয়ে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষ আসতে থাকেন।
সরেজমিন দেখা যায়, জনসভা ঘিরে চলে চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাফর আলমের সমর্থকদের নির্বাচনী শোডাউন। ‘শেখ হাসিনার নৌকা, জাফর ভাইয়ের নৌকা’-স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে জনসভাস্থল। জনতার মুহুর্মুহু স্লোগানে খোদ কেন্দ্রীয় নেতারাও উজ্জীবিত হয়ে উঠেন।
এ সময় উপস্থিত জনতার দাবির পরিপ্রেক্ষিতে দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘চকরিয়া-পেকুয়া তথা কক্সবাজার-১ আসনের আমলনামা আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনার কাছে আছে। অতএব আপনাদেরকে চিন্তা করতে হবে না। ঠিক সময়ে এ আসনে নৌকার প্রার্থী ঘোষণা করা হবে।’
ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, এখানে যাঁর জনসমর্থন বেশি, তাঁকেই নৌকার মনোয়নয়ন দেওয়া হবে।’ কবিকে উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, ‘আবার আসিব ফিরে সেদিন, যেদিন মাতামুহুরীর তীরে ভিড়বে নৌকার বিজয়।’
এ সময় কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে আরো ছিলেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, সাবেক মন্ত্রী আবদুল মতিন খসরু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম ও ব্যারিস্টার মহীবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, উপ-দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।
চকরিয়া উপজেলা ও পৌরসভা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এ জনসভায় সভাপতিত্ব করেন জাফর আলম। সঞ্চালনা করেন উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী এবং পৌরসভার সাধারণ সম্পাদক আতিক উদ্দিন চৌধুরী।
জনসভায় উপস্থিত জনতার দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম বলেন, ‘আমাদের কাছে তথ্য রয়েছে এলাকায় কে বেশি জনপ্রিয়। কার মাধ্যমে এ আসনে নৌকার বিজয় নিশ্চিত হবে। তাই দল থেকে নৌকার প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়া হবে। আওয়ামী লীগের মতো বড় দলে একাধিক প্রার্থী থাকতে পারে। তবে মনোনয়নকে কেন্দ্র করে কোনো অবস্থাতেই সংঘর্ষে জড়ানো যাবে না। নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
চকরিয়া পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহেদুল ইসলাম লিটু ও পেকুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে বেশি নির্যাতিত হয়েছিলেন আমাদের নেতা জাফর আলম। সেই একযুগ আগে থেকে চকরিয়া-পেকুয়ার গণমানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন তিনি।
তাঁরা বলেন, জনসভায় লাখো জনতার সমাগমের মাধ্যমে আজ জাফর প্রমাণ করলেন চকরিয়া-পেকুয়া শেখ হাসিনা তথা নৌকার ঘাঁটি। আশা করি আগামী সংসদ নির্বাচনে জাফরকেই নৌকার প্রার্থী করা হবে।