গৌরনদীর অগ্রনীব্যাংক এ কর্মরত সিনিয়র অফিসার নুরউদ্দিন এর সুদের কারবার এ জর্জরিত বহু অসহায় ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজন।
উল্লেখ্য গতকাল গৌরনদী উপজেলার বাটাজোর ইউনিয়ন এর বাগানবাড়ি তে,সংখ্যালঘু পরিবার এর উপর হামলা চালায় বিএনপি নেতা,সাজাহান সহ কতিপয় দুষ্কৃতিকারীরা,শ্রী হিরালাল দাস এর পুত্র অজিত কুমার দাস কে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে,বর্তমানে অজিত কুমার দাস গৌরনদী স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স এর ৪২নং বেড এ ভর্তি আছেন।
আজ বিকেলে আমাদের নিজস্ব প্রতিনিধি গৌরনদী স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স এ আহত অজিত কুমার এর সাক্ষাৎকার নিতে গেলে,আহত অজিত এর স্ত্রী ও আত্বীয়স্বজন এর কাছ থেকে আসল রহস্য বেরিয়ে আসে,এবং ওইসময় অসুস্থ অজিত এর বেডে একজন অপরিচিত ভদ্রলোক কে দেখা যায়, ওই ভদ্রলোক টি হলেন,গৌরনদী অগ্রণী ব্যাংক এর সিনিয়র অফিসার মোঃ নুরউদ্দিন বিশিষ্ট সুদের কারবার যার আয়ের প্রধান উৎস
অগ্রনীব্যাংক সিনিয়র অফিসার মোঃনুরউদ্দিন এর সাথে আলাপকালে তিনি আমাদের প্রতিবেদক কে জানান,আহত অজিত কুমার দাস কে বছর দুয়েক আগে তিনি ছয় লক্ষ (৬,০০,০০০) টাকা সুদে লাগান।যাহার মাসিক সুদ হলো,প্রতি ১লাখে দশ হাজার টাকা।
অজিত প্রতিমাসে ৬০,০০০টাকা সুদ হিসেবে নুরউদ্দিন কে পরিশোধ করতো।গত দুমাস যাবৎ অজিত সুদের টাকা দিতে না পারায়, ব্যাংক অফিসার নুরউদ্দিন অজিত দাস কে,ভিটেহারা করার ভয়ভীতি দেখায়, নুরউদ্দিন এর সুদের ব্যাবসার আরেক সহযোগী বাটাজোর ইউনিয়ন বিএনপির সেক্রেটারী, সাজাহান কে দিয়ে টাকা তোলার হুমকি দেয়।এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সাজাহান বাগানবাড়ীর দাস বাড়ীতে হামলা চালায় ও অজিত কে মারধোর করে।
আলাপ কালে অজিত এর স্ত্রী জানায়,এই নুরউদ্দিন এর কাছ থেকে এযাবৎ পর্যন্ত যত লোকজন সুদে টাকা নিছে প্রত্যেকেই এখন স্বর্বস্বান্ত ও বসতবাড়ি পর্যন্ত নুরউদ্দিন এর দখলে।
নুরউদ্দিন এর কাছে এই সুদের কারবার সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে,তিনি এই টাকার কথা স্বীকার করেন এবং এক লাখে,মাসিক সুদ দশ হাজার টাকা নেওয়ার কথাও স্বীকার করেন,তিনি বলেন আমার সাথে স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যাক্তিবর্গ এই ব্যাবসায়ে জড়িত,নাম জানতে চাইলে তিনি নাম বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন,এবং তিনি সাজাহান কে দিয়ে অজিত কে মারধর করানোর ব্যাপারে জড়িত নন, প্রয়োজনে কোরআন ছুয়ে সুপথ করার কথা বলে চটজলদি হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান।
হাসপাতালে উপস্থিত সংখ্যালঘু হিন্দুসম্প্রদায়ের লোকজন জানান, অগ্রনীব্যাংক অফিসার নুরুউদ্দিন এর এই চড়া সুদের টাকা পরিশোধ করতে গিয়ে সর্বশান্ত হয়ে আজ নিঃস্ব অবস্থায় দিনযাপন করতেছেন বহুসংখ্যক সংখ্যালঘু হিন্দুসম্প্রদায়ের লোকজন।
এই সুদ ব্যাবসায়ী নুর উদ্দিন এর নিজ বাড়ী গৌরনদীর খান্জাপুর। স্থানীয় বাসিন্দা হওয়ার কারনেই তিনি একজন ব্যাংক কর্মকর্তা হয়ে,ঢালাও ভাবে এই চরম সুদের হারে,টাকা লাগিয়ে অসহায় পরিবারগুলোকে দিনের পর দিন ব্লাকমেইলিং করে অবৈধভাবে সুদের টাকা উপার্জন করছেন,এলাকাবাসী বিষয়ট অগ্রনীব্যাংক এর উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার অনুরোধ করেন,ও এই সুদ চক্রের হোতা সহ সকল কে আইনের আওতায় আনার জোড় দাবি জানান।