বরিশালে গত দশ বছরের কয়েক কোটি টাকার কাজ ভাগিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে জি কে শামিমের বিরুদ্ধে। শুধু জি কে শামিম নয়! রয়েছে বেশ কিছু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নাম। অভিযোগ রয়েছে ওই সকল ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কোটি টাকার কাজ মোটা অঙ্কের ঘুষের মাধ্যমে ভাগিয়ে নেন তারা। আইনের তোয়াক্কা না করে নিয়ম নিতি না মেনে সিণ্ডিকেট তৈরি করেছেন ওই সকল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
আর এতে করে ছোট খাটো সাধারন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে হুমকির মুখে। ওই সকল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গুলোর বিরুদ্ধে মুখ খুলতে না রাজ সাধারন ঠিকাদারের সদস্যরা। সুত্র বলছে, জি কে বিল্ডার্স ,খান বিল্ডার্স,মের্সাস পলি ইনজিনিয়ারিং এ সকল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মোটা অঙ্কের ঘুষের মাধ্যমে সিণ্ডিকেট তৈরী করার মাধ্যেমে সকল কাজ তাদের প্রতিষ্ঠানের নামে ভাগিয়ে নেয়। অভিযোগ রয়েছে পলি ইনজিনিয়ারিং এর সমস্ত অফিসিয়াল কাজ সম্পাদন করে এক ব্যাক্তি। পি,পি ,আর এর নিয়ম অনুযায়ী সর্বনিম্ন ৩ কোটি টাকার কাজ এল, টি, এম, করার কথা থাকলেও অফিসের যোগ সাজগে ও,টি,এম পদ্ধিতির মাধ্যেমে তাদের নিজস্ব দুটি লাইসেন্স এর মাধ্যমে নিয়ে পরবর্তীতে তারা আবার সেগুলো ২০% কমিশনে বিক্রি করে। বিশ্বস্ত এক সূত্র নিশ্চিত করে পলি ইনজিনিয়ারিং মালিক আকবর হোসেন বরিশাল মহানগর জামায়েতের আমির মোয়াজ্জেম হোসেন হেলালের বেয়াই ।
এদিকে বিএনপি পন্থি ঝালকাঠি সদর আসনের সাবেক সাংসদ সদস্য নাছিরের নাম ভাঙিয়ে বিসিসি’র ৩০নং ওয়ার্ডের সাবেক যুবদলের সভাপতি মিজান খাঁ ওরফে (কাশি মিজান)। জি কে বিল্ডার্স,খান বিল্ডার্স,মের্সাস পলি ইনজিনিয়ারিং এ সকল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গুলোর খোঁজ নিলে জানা যাবে গত দশ বছরে গণপূর্ত বিভাগ থেকে সিণ্ডিকেটের মাধ্যমে তারা কত কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। নাম বলতে অনিচ্ছুক এক ঠিকাদার বলেন,যদি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) যে কোনো সময় খান বিল্ডার্স এর সমস্ত কাজের ক্ষেত্রে অনুসন্ধান করতে মাঠে নামে তাহলে ভয়াভহ দুর্নীতির চিত্র বেড়িয়ে আসবে। অন্য এক প্রশ্নের জবাবে সেই ঠিকাদার বলেন,বর্তমানে বরিশাল গনপূর্তের সকল কাজ ওই সকল সিন্ডিকেটের মাধ্যেমেই পরিচালিত হয়ে থাকে।