নিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) জাহিদ ফারুকের অনুসারী দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। এতে উভয়গ্রুপের অন্তত ১০ নেতা-কর্মীরা আহত হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে ৩১ আগস্ট (শনিবার) সন্ধ্যায় শহরের কাশিপুর বাজার এলাকায়। তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
জানা গেছে, পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) জাহিদ ফারুক শনিবার বিকেলে রাজধানীর উদ্দেশে বরিশাল বিমানবন্দরে যান। এসময় তার সাথে শতাধিক মোটরসাইকেলযোগে নেতাকর্মী সেখানে যান। প্রতিমন্ত্রীকে বিদায় দিয়ে ফেরার পথে কাশিপুর এলাকায় বরিশাল সরকারি ব্রজমোহন কলেজ ছাত্রলীগ নেতা নূর আল আহাদ সাঈদী এবং ১২ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহারিয়ার সাচিব রাজিবের কর্মীদের সংঘর্ষ শুরু হয়।
একপর্যায়ে দুটি গ্রুপ পাল্টাপাল্টি অবস্থান নিলে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এই ঘটনায় উভয়গ্রুপের অন্তত ১০ নেতাকর্মী আহত হন।
তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
এ বিষয়ে নূর আল আহাদ সাঈদী বলেন, আমি এ বিষয়ে কোন কিছু জানি না। তাছাড়া শাহারিয়ার সাচিব রাজিব তো ছাত্রলীগ নন। তার সাথে ঝামেলা হওয়ার কোন প্রশ্নই আসে না। মূলত তিনি উদ্দেশ্যমূলকভাবে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন।
সাঈদী বলেন, শুনেছি ব্যান্ডেজ করে ঢাকা গেছে-আমার বিরুদ্ধে নালিশ দিতে। এ বিষয়ে শাহারিয়ার সাচিব রাজিবের কোন বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এয়ারপোর্ট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুব উল ইসলাম জানান, সংঘাতে খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু এর আগেই সকলে পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
মূলত, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুটি গ্রুপের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছিল। গত বৃহস্পতিবার রাতে তারা প্রতিমন্ত্রীর রেস্ট হাউজ পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রবেশদ্বারে হাতাহাতি করে। পরে শুক্রবার বিকেলে প্রতিমন্ত্রীর গাড়িবহরে নতুন বাজার এলাকায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
তখন প্রতিমন্ত্রীর নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশ সদস্যরা তাদের সরিয়ে দেয়। সর্বশেষ এই ছাত্রলীগের গ্রুপ দুটি শনিবার সন্ধ্যায় সংঘাতের মাধ্যমে রক্তপাত সৃষ্টি করল।’