শেখ সুমন।
জামায়াতের সকল সদস্যকে নির্বাচন থেকে অযোগ্য ঘোষণার দাবিতে বরিশাল জেলা ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় সভাপতি সাহরিয়ার কবির। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এড .মানবেন্দ্র বটব্যাল,মশিউর রহমান মিঠু, সভাপতি ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি বরিশাল মহানগর,মহিউদ্দিন মাণিক বীর প্রতীক, বিচারপতি শামছুল হুদা ,উপদেষ্টা ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি।কাজি মুকুল , সম্পাদক ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি কেন্দ্রীয় কমিটি। সভাপতিত্ব করেন আক্কাস হোসেন।
সভায় বক্তারা বলেন ,গত সিটিকর্পোরেশনের নির্বাচনের বিভিন্ন ক্যাম্পিং এ জামাত ইসলাম ও জামাত শিবিরের নেতাদের দেখা গেছে। এবার নির্বাচনে তাদের রোধ করতে হবে।জামায়াত কে অযোগ্য ঘোষণা করতে হবে।স্বাধীনতার পর দু দু বার স্বাধীনতা পদক পেয়েছেন ছারছীনার পির সাহেব । যিনি একজন ঘাতক ছিলেন।ছারছীনার পির একজন দুষ্কৃতীকারী ছিলেন। তার পদক ফিরিয়ে নেওয়া দাবি জানানো হয়।
যে সমস্ত ঘাতক মারা গিয়েছে তাদেরকে মৃত্যু পরবর্তী সময়ে যেন আইনের কাঠগড়ায় দাঁড়ানো করা হয় সেই দাবি জানানো হয়।নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নির্বাচন পৃর্বে এবং নির্বাচন পরবর্তী কালীন সময়ে যেন সংখ্যা লঘুদের প্রতি নির্যাতন করা না হয় সেই দাবি জানানো হয় ।
ভূয়া মুক্তিযোদ্ধাদের সনদ বাতিলের দাবি জানানো হয়।জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অবিশ্বাসীদের নমিনেশন দেওয়া না হয়। আগামী নির্বাচনে ভোটার প্রায় শোয়া দশ কোটি। তাদের ভিতর দুই তৃতীয়াংশ যুবক। আর যুবকেরাই পারে অপ-শক্তি রোধ করতে। তরুণদের একত্রিত করে কাজ করতে হবে।একাত্তরে যারা যুদ্ধে গিয়েছে তাদের অধিকাংশরাই তরুণ।
বাংলাদেশের সংবিধান পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম সংবিধান । যা উপহার দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আর সেই সংবিধান এখন মেনে চলা হয় না।বঙ্গবন্ধু ধর্মের নামে রাজনীতি নিশেধ করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু সাড়ে তিন বছরের আড়াই হাজার ঘাতকদের বিচার করেছিলেন। জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে সব পরিবর্তন করে দিলেন। যারা জেলে ছিলেন তাদের ছেড়ে দিলেন। জিয়াউর রহমান চেয়ে ছিলেন দেশটি আরেকবার ধ্বংস করতে।
ক্ষমতায় এলেই ক্ষমতার অপব্যবহার করা হয়। দেশে ঘাতকদের ক্ষমতা এখন চরম মাত্রায় পৌছে গেছে।বাংলাদেশের সংবিধান ধর্ম নিরপেক্ষ সংবিধান। তারপরেও এদেশে ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করা হয়। নির্বাচনে ধর্ম নিয়ে চরম বাড়াবাড়ি করা হয়। জামায়াতকে নিষিদ্ধ করতে প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম আন্দোলন করতে হবে।
বাংলাদেশ কখনও পাকিস্তান হতে পারেনা। বাংলাদেশ কখনও ঘাতকদের হতে পারেনা , হরকাতুল জিহাদের হতে পারেনা।
এবারের নির্বাচনে সংখ্যালঘুদের প্রতি একটি আঘাত ও যেন না হয় সেই দাবি করা হয়। ভিকটিমদের আইনি সহযোগিতা দিতে হবে।সাম্প্রদায়িক সাম্প্রদায়িকতার সাথে যারা যুক্ত, যারা দুর্নীতি বাজারে তারা এবার নির্বাচন করতে পারবেন না। জামায়াতকে দল হিসেবে বাংলাদেশ থেকে বাদ দিতে হবে এবং এর সদস্যরাও যেন নির্বাচন করতে না পারে সে ব্যাপারে নিশ্চয়তা দিতে হবে।