ঝালকাঠিতে দোকানে অগ্নীকান্ডের ঘটনায় আগুন নিভাতে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের দ্বিগুন সময় লাগার কারনে একটি দোকান বস্মীভূত। সদর উপজেলাধীন শেখেরহাট ইউনিয়নের শিরযুগ গ্রামে ৩ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে একটি দোকানে আগুন লাগে। সেখানে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল গাড়ী নিয়ে ঘটনা স্থানে যাবার সময় গাফখান নদী তীরর্বতী রাস্তাটির অনেক স্থান থেকে নদী ভাঙ্গনে বিলীন হওয়ার কারনে কারনে দ্বীগুন সময় লাগায় দোকানঘরটির অধিকাংশ পুড়েযায়।
এ বিষয় ঝালকাঠি ফায়ার সার্ভিস স্টেশন অফিসার মেহেদী হাসানের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, রাতে আমরা সদর উপজেলাধীন শেখেরহাট ইউনিয়নের শিরযুগ গ্রামে আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে সাথে সাথে অগ্নী নির্বাপনের জন্য গাড়ী নিয়ে ঘটনা স্থানের দিকে ছুটে যাই। গাভখান ব্রীজের পশ্চমপাড়স্থ ঢাল দিয়ে নেমে শেখেহাট এলাকার উদ্দেশ্যে রওনা হই। কিছুদূর সামনে গিয়ে দেখতে পাই নদীর ভাঙ্গনে রাস্থার অধিকাংশ নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। পরে অনেক কষ্ট করে সময় নিয়ে ঘটনা স্থানে পৌছাতে একটু বিলম্ব হলেও আমরা সেখানে পৌছানো মাত্রই আগুন নিভানোর কাজে নেমে পড়ি। প্রায় ঘন্টা খানিক সময়ের মধ্যে আমরা আগুন পুরোপরি ডিনয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হেই। আগুন লাগার কারন জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটের কারনে অগ্নীকান্ড ঘটেছে বলে তিনি মনে করেন।
এ বিষয় ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ী সাইদ জানান, আমার প্রায় ৮০ হাজার টাকার ক্ষয় ক্ষতি হইছে। উপার্জনের শেষ সম্বল টুকু কেড়ে নিল আগুন। আমি এখন নিঃস্ব অসহায় হয়ে পরেছি। কিভাবে দোকানে আগুন লাগলো সে বিষয় তার কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আমার মুদি দোকানটি বন্ধ করে দোকানের পিছনে বাড়ির ভিতরে চলে যাই। কিছুক্ষণ পরেই রাস্তা থেকে কে যেন আগুন আগুন বলে চিৎকার করছে। মুহুর্তেই বাড়ির ভিতর থেকে ছুটে যায় দোকানদার সাইদ ও তার পরিবারের লোকজন। ততক্ষণে আগুনের লেলিহান শিখা অনেক উপরে উঠে যায়। চোখের সামনেই দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে সাইদের দোকান ঘরটি।
তবে তিনি আবেগাপ্লুত কন্ঠে জানান, ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি আগে আসলে হয়তো আমার দোকানঘরটি পুরোপুরি পুড়ত না। ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি আসার জন্য বাধা হয়ে দাড়ায় গাবখান নদীভাঙ্গন।রাস্তাটির অনেক অংশ নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। কতৃপক্ষ যেন নিধিরাম সর্দার। সড়কটির উপর দিয়ে ঝুকি নিয়ে ধীর গতিতে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ীটি শিরযুগ পৌছাতে সময় লেগে যায় স্বাভাবিকের তুলনায় ২ গুনের বেশি। ততক্ষণে সাইদ ষ্টোর পুড়ে সম্পুর্ন ভস্মিভুত হয়ে যায়।