পলিটেকনিক প্রতিনিধি//রাতুল হোসেন রায়হান:
Barishal Hunger Inhibition Society(BHIS) অর্থাৎ, বরিশাল ক্ষুধা নিবারণ সোসাইটি । এটা একটি অরাজনৈতিক সেচ্ছাসেবী সংগঠন । বরিশাল শহরেই এদের কার্যক্রম । এর মূল উদ্দেশ্য ক্ষুধামুক্ত সোনার বাংলাদেশ গড়া । । আর ইনফ্রা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউ এর ছাত্র শুভ্র শুভর হাত ধরে গড়ে ওঠে এই সংগঠন । শুরুটা ছিলো ২৫ থেকে ৩০ জন সেচ্ছাসেবক নিয়ে । যারা বরিশালের বিভিন্ন সংগঠনের সেচ্ছাসেবী, বিভিন্ন স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রী এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী । এদের অনেকেই জীবন চলার পথে ক্ষুধার্ত অনাহারে দিন কাটিয়েছে । আর এই অনুভব থেকে সংগঠনটির যাত্রা । এর কার্যক্রম:- ৩১শে আগস্ট ২০১৯ তারিখ রোজ শনিবার সকাল ১০টায় আমতলা বিজয় বিহঙ্গে এর প্রথম আলোচনা সভা হয় এবং সেখানে ক্ষুধার্তদের নিয়ে সকল কার্যক্রমের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় । ক্ষুধা নিবারণের লক্ষে বিভিন্ন অনুষ্ঠান, রেস্টুরেন্ট, হোটেল, কমিউনিটি সেন্টারে যোগাযোগ করে অবশিষ্ট খাবার ক্ষুধার্তদের জন্য এনে ক্ষুধার্তদের মাঝে বিলিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় । কিন্তু, এদের কে দিবে এই খাবার, কোন বিশ্বাসে দিবে এই অপরিচিত মানুষদের হাতে । এরই ধারাবাহিকতায় সংগঠনের সকল সেচ্ছাসেবক নিজেদের খরচে ক্ষুধার্তদের পাশে দাড়ানোর উদ্যোগ নেয় । এরপরে আর পিছু ফিরতে হয়নি BHIS টিমকে । তারা ১লা সেপ্টেম্বর ২০১৯রোজ রবিবার বরিশালের মুক্তিযোদ্ধা পার্কের পাশের এলাকাগুলো পরিদর্শনে যায় । পার্ক পরিদর্শকের অনুমতি নিয়ে নামার চর, ভাটার খাল ও বরফ কল এলাকার কিছু দরিদ্র শিশুর সাথে পরিচিত হয় । তাদের সাথে সুন্দর একটি সময় কাটিয়ে সিদ্ধান্ত নেয় যে ৬ই সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখ রোজ শুক্রবার ক্ষুধার্ত শিশুদের সাথে দুপুরের খাবার ভাগ করে নিবে । ৬ই সেপ্টেম্বর ২০১৯(শুক্রবার):- ৫ই সেপ্টেম্বর থেকেই সকলের মনের মধ্যে ছটফট করতে থাকে কখন তারা বাচ্চাদের সাথে মিলিত হবে । অনেকে ৫ই সেপ্টেম্বর মুক্তিযোদ্ধা পার্কে গিয়েছেন দরিদ্র শিশুদের সাথে দেখা করতে । আনন্দ ভাগ করে নিয়েছে ওদের সাথে । ৬তারিখ সকাল ১০টা থেকেই সেচ্ছাসেবকদের আনাগোনা শুরু মুক্তিযোদ্ধা পার্কে । এক এক করে ৪০জন এর বেশি সেচ্ছাসেবী উপস্থিত হয় । সকলে একসাথে জুম্মার নামাজ পরার পরে ১৩০জন দরিদ্র শিশুর সাথে নিজেদের আনন্দ-খুশি, সুখ-দুঃখ ভাগ করে নেয় । পরিশেষে দুপুর ০১:৩০মিনিটে খাবার বিতরণের মাধ্যমে ওই দিনের প্রোগ্রাম সফলভাবে শেষ করা হয় । এরপরে ১০ই সেপ্টেম্বর আবার সভার আয়োজন করা হয় । সেখানে অভিজ্ঞতা শেয়ার, পরবর্তী ইভেন্ট সম্পর্কে আলোচনা হয় । এই সংগঠনের পাশে দাড়িয়েছে কিছু মানবপ্রেমি মানুষ । অনেকে নিজ পরিচয় গোপন রেখেও হতদরিদ্রদের পাশে দাড়িয়েছেন । স্যালুট এমন মানবতার যোদ্ধাদের ।