বুধবার (২৪ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ‘শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট’র উদ্বোধন করতে এসে বহির্বিভাগে জোড়া মাথার শিশু দু’টিকে দেখেন প্রধানমন্ত্রী।
শুরু থেকে কনজয়েন্ড বা মাথা জোড়া লাগানো অবস্থায় জন্ম নেওয়া রাবেয়া ও রোকাইয়ার চিকিৎসার দায়িত্ব নেন প্রধানমন্ত্রী। বুধবার তাদের দেখার সময় প্রধানমন্ত্রী শিশু দু’টির হাত ধরে আদর করেন এবং স্নেহের পরশ বুলিয়ে দেন। একইসঙ্গে শিশু দু’টির চিকিৎসার খোঁজখবর নেন।
জোড়া মাথার প্লাস্টিক মডেলের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা শিশু দু’টির চিকিৎসার পরিকল্পনা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে। এ সময় শিশু দু’টির বাবা-মা উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী তাদের বাবা-মায়ের সঙ্গেও কথা বলেন। তাদের সান্ত্বনা ও সাহস দেন তিনি।
২০১৬ সালের ১৬ জুলাই পাবনা শহরের একটি ক্লিনিকে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে স্কুল শিক্ষক রফিকুল ইসলাম ও তাসলিমা খাতুন দম্পতির ঘরে জন্ম নেয় জোড়া মাথার জমজ রাবেয়া-রোকাইয়া।
চিকিৎসকরা জানান, শিশু দু’টিকে ধাপে ধাপে আলাদা করতে হবে। আলাদা করার অগ্রগতি হিসেবে ১৮ মাস বয়সে রাবেয়া ও রোকাইয়ার মাথায় যুক্ত রক্তনালী অপারেশন করে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, যাতে দু’জনের জন্য আলাদা রক্তনালী চালু হয়।
এর আগে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। তার নামে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল সংলগ্ন চাঁনখারপুল এলাকায় ৫০০ শয্যাবিশিষ্ট ‘শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট’-এ বিশ্বের সর্বাধুনিক যন্ত্রপাতিসহ উন্নততর চিকিৎসা ব্যবস্থা থাকবে।