বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে দাবি করে ক্ষমতায় গেলে এতে জড়িতদের বিচারের হুমকি দিয়েছেন বিজেপি চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে আত্মীয়তার সম্পর্ক থাকা পার্থ জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে খালেদার মুক্তির দাবিতে বিএনপির কর্মসূচিতে বক্তব্যে এই হুমকি দেন।
তিনি বলেন, “আমার নেত্রী প্রধানমন্ত্রী হবেন বাংলাদেশের, ইনশাল্লাহ। আমরা তাদের বিচার করব।” আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিমের ভাগ্নে পার্থ বিয়ে করেছেন প্রধানমন্ত্রী হাসিনার চাচাত ভাই শেখ হেলালের মেয়েকে।
এরশাদের মন্ত্রী নাজিউর রহমান মঞ্জুরের মৃত্যুর পর বিজেপির হাল ধরে আছেন তার ছেলে পার্থ। তার দল বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটে শুরু থেকে রয়েছে। গত ৮ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতির মামলায় আদালত বিএনপি চেয়ারপারসনকে পাঁচ বছর কারাদণ্ড দেওয়ার পর ওই রায়কে ‘ধিক্কার’ দিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন পার্থ।
অনশন কর্মসূচিতে তিনি বলেন, “সরকারকে বলে দিতে চাই, বাংলাদেশের কোনো আদালতের খোঁচায় কিংবা কোনো নির্বাহী আদেশের কলমের খোঁচায় তাকে (খালেদা) বন্দি করে রাখা যাবে না, তাকে ছাড়া কোনো রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করা যাবে না।
কর্মসূচিতে একাত্মতা প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন ২০ দলীয় জোটের শরিক খেলাফত মজলিশের মাওলানা মুহাম্মদ ইসহাক, ইসলামী ঐক্যজোটের এম এ রকীব, কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার।
এনপিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, লেবার পার্টির একাংশের মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, অন্য অংশের হামদুল্লাহ আল মেহেদী, জাগপার খন্দকার লুৎফর রহমান, জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা, এলডিপির সাহাদাত হোসেন সেলিম, ন্যাপের গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া।
সরকার জনগণ থেকে খালেদা জিয়াকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে : খসরু
সরকার নির্বাচনী ‘ব্লুপ্রিন্ট’ বাস্তবায়ন করতে বেগম জিয়াকে কারাগারে বন্দি করে তাকে জনগণের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে বাংলাদেশ জাতীয় দল আয়োজিত ‘নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য করণীয়’ শীর্ষক আলোচনায় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আমির খসরু বলেন, ‘জনগণের ওপর সরকার আস্থা হারিয়ে ফেলেছে, জনগণও সরকারের ওপর আস্থা হারিয়েছে। সরকার ও জনগণের সম্পর্ক আস্থাহীনতার মধ্যে চলছে। প্রতিবাদের বিস্ফোরণ ঠেকাতে সরকার জনগণকে নির্দলীয় নির্বাচনে ভোট দেয়ার সুযোগ দিতে চায় না’।
তিনি বলেন, ‘দেশ-জাতি যে সঙ্কটে আছে তা আমদের এক হয়ে মোকাবেলা করতে হবে। যতই জীবনের ঝুঁকি থাকুক আমরা রাজপথে থাকবো। সরকারের হতাশা এমন পর্যায় গেছে যে, তারা কী করবে- তা ঠিক করতে পারছে না। এ কারণে সরকার জনগণের অধিকার একটার পর একটা কেড়ে নিচ্ছে। সরকারের মনে ক্ষমতা হারানের ভয় কাজ করছে; তারা বিচারের সম্মুখীন হওয়াকে নিরাপত্তাহীনতা ভাবছে’।
বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহ্সানুল হুদার সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে ন্যাপ মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া, এনডিপির মহাসচিব মঞ্জুর হোসেন ঈসা, এলডিপির যুগ্ম মহাসচিব শাহদাৎ হোসেন সেলিম, জাপা (কাজী জাফর) নেতা মোস্তফা জামাল হায়দার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন