শেখ সুমন :
রাত ৮.১৫ মিনিট । এই প্রতিবেদক ফোন দিয়েছে বিএমপি অপরাধ ও মিডিয়া শাখার সদস্য ওবায়দুল হকের কাছে। কারন, অসহায় নির্যাতিত শিশু লামিয়ার শারিরীক অবস্থার খবর নেওয়া।
ফোনে ওবায়দুল হক জানান,নিজ দায়িত্ব পালনে বাংলাবাজার এলাকায় আছেন তিনি। সেখান থেকে কাজ শেষ করে রাত নয়টার দিকে শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লামিয়ার কাছে যাবেন তিনি। এই প্রতিবেদক ঠিক নয়টায় ফোন দিলেন ওবায়দুল হকের কাছে। কোথায় তিনি? বিপরীত দিক হতে উত্তর আসলো, সকাল সন্ধা মিষ্টান্ন ভান্ডারে। কারন ,গরম মিষ্টি খেতে চেয়েছে শিশু লামিয়া।
যখন ওবায়দুল হক মিষ্টি নিয়ে লামিয়ার কাছে গেলেন ,তখন দেখা গেল মাতৃস্নেহে লামিয়ার যত্ন করছে অপরাধ ও মিডিয়া শাখার সদস্য লাইজু আক্তার। দুজনের মধ্যে মা ও মেয়ের মতো কথা হচ্ছে। আন্টি আমার গা মুছে দেও। মাথা ব্যাথা করছে। বলার সাথে সাথে ব্যাবস্থা নিলেন লাইজু আক্তার।
ওবায়দুল হককে দেখে মুখে যেন তৃপ্তির হাসি। আঙ্কেল আঙ্কেল বলে শুরু করলেন অনেক কথা। যেন কথার ফুলঝুড়ি। তবে কথার মাঝেও বার বার অসুস্থতা বোধ করছে লামিয়া। একটু পরে মিষ্টি খেতে দিল। দুটি মিষ্টি খাওয়ার পর বল্লো আর খাবোনা। পেটে ব্যাথা। বাথরুম হয়না। সাথে সাথে ওবায়দুল হক ছুটে গেলেন ডাক্তারদের কাছে। কোন ঔষধ দিবে কিনা ডাক্তার। এ যেন সন্তানের প্রতি পিতার টান।
এই প্রতিবেদকের সাথে কথা হল লামিয়ার। জানতে চাইলাম বাড়ি যাবে দাদির কাছে? ঘাড় নারলো। না।
কারন, আমি আঙ্কেল আন্টির কাছেই থাকবো । খুব ভালবাসে আমাকে। একটু আগে পুলিশের স্যার ( পুলিশ কমিশনার বিএমপি জনাব মোশারফ হোসেন) আসছিল। খুব আদর করেছে আমাকে। অনেক কথা বলছে আমার সাথে। আমি এদের কাছেই থাকবো।
প্রসঙ্গত,
সেই অভিযোগ পেয়ে পুলিশ কমিশনার মো. মোশারেফ হোসেন বিষয়টি গোয়েন্দা পুলিশকে পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশনা দেন। পরবর্তীতে সোমবার রাতে গোয়েন্দা পুলিশসহ বিএমপি অপরাধ ও মিডিয়া শাখার সদস্যরা অভিযান চালিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে।
সেই সাথে নির্যাতনের ঘটনায় গৃহকর্ত্রী শারমিন আক্তারকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসে। কিন্তু ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন গৃহকর্তা এনজিওকর্মী আশরাফুল চৌধুরী।