অনলাইন ডেস্ক ::
নোবেল শান্তি পুরস্কার ২০১৯ ঘোষিত হবে।শান্তিতে নোবেল কে জিতবে এ নিয়ে সারাবিশ্বে রাষ্ট্রনায়ক, সরকার প্রধানসহ শান্তিকামী বিভিন্ন মানুষের মধ্যে নানা রকম গুঞ্জন চলে। নানা রকম জল্পনা কল্পনা চলে।
কিন্তু প্রত্যেক বছরই দেখা যায় যে, নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য যাদের নাম আলোচিত হয় তাদের বাইরে একজনকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়। এবারও কি তার ব্যতিক্রম হবে?
২০১৬ সাল থেকেই নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য যতবার নাম আলোচিত হয়েছে।ততবারই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম ঘুরেফিরে এসেছে। বিশেষ করে ২০১৭ সালে যখন তিনি রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেন।তখন সারাবিশ্বে মানবতার এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন।
তখন তার শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়াটা ছিল অবধারিত।কিন্তু নোবেল শান্তি পুরস্কার কেবল কাজের জন্য দেওয়া হয় না।নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়ার জন্য কিছু রাজনৈতিক কার্যক্রম এবং লবিং থাকে।
রাজনৈতিক লবিংয়ের জন্যই শেখ হাসিনা নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য বারবার আলোচিত হয়েও পাননি কাঙ্খিত পুরস্কার।এবার কি তিনি নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য সব বাঁধাকে অতিক্রম করতে পারবেন?
একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে, এবার শান্তিতে নোবেল পুরস্কার যেন শেখ হাসিনা পায় সেজন্য জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর, অর্থনীতিতে নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেন, অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কোঅপারেশান (ওআইসি)-সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সংগঠন শেখ হাসিনার নাম প্রস্তাব করেছে।
এই নাম প্রস্তাব করার মূল উদ্দেশ্য হলো বাংলাদেশের মতো একটি উন্নয়নশীল দেশে সরকার প্রধান হয়ে তিনি ১১ লক্ষ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছেন এবং তাদের দেখভাল করছেন। যেটি বিশ্বের ইতিহাসে একটি বিরল ঘটনা।
শুধুমাত্র আশ্রয় দেননি,তিনি এই সময়ে তিনি মায়ানমারের উস্কানি এবং মায়ানমারের যুদ্ধাংদেহী মনোভাবকে কূটনৈতিক শিষ্টাচারের মধ্যে থেকে দমন করেছেন এবং তিনি শান্তির এক বার্তা সারাবিশ্বকে দিয়েছেন। যে, যেকোন সংকটে শান্তিপূর্ণ সমাধানই হলো একমাত্র পথ যেখানে মিয়ানমারের অন্যতম নেতা অং সান সুচি বিপন্ন মানবতার ডাকে সাড়া দিতে পারেননি, রোহিঙ্গাদের গণহত্যায় সম্মতি দিয়েছেন এবং গণহত্যার দায় যার ঘাড়ে বর্তে সেখানে শেখ হাসিনা যেন এক বিরল দৃষ্টান্ত।
সেজন্য বিশ্বের বিভিন্ন মহল থেকে তাকে ইতিমধ্যেই ‘ডটার অব হিউম্যানিটি’সহ বিভিন্ন উপাধিতে ভূষিত করা হয়েছে।
শুধু রোহিঙ্গা ইস্যু নয় সারাবিশ্বে শান্তির বাতায়নের জন্য শেখ হাসিনা এক অনন্য উদাহরণ।
সাম্প্রতিক সময়ে ভারতের সঙ্গে সীমান্ত বিরোধ নিষ্পত্তিসহ ভারতের বিশৃঙ্খলতা বাদিদের আশ্রয় প্রশ্রয় না দেয়ার ক্ষেত্রেও শেখ হাসিনা এক রোল মডেল রাষ্ট্রনায়ক। তিনি এখন বিশ্বের এক অনন্য অনুকরণীয় নেতা হিসেবে উদ্ভাসিত হয়েছেন।
বাংলাদেশের একাধিক কূটনৈতিক মনে করেন যে শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারণেই তাকে নোবেল পুরস্কার দেয়া থেকে বারবার বঞ্চিত করা হয়।
তবে কেউ কেউ মনে করে যে, শুধু রাজনৈতিক কারণে না, নোবেল শান্তি পুরস্কার তিনি যেন না পান।সেজন্য বড়ধরনের লবিং করেন বাংলাদেশের আরেক নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
এছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে একটি মহল সবসময় লবিং করে শেখ হাসিনা যেন নোবেল পুরস্কার না পান।
তবে বিভিন্ন সূত্রে প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে, এই লবিংটি ড. ইউনূসের দ্বারা প্ররোচিত হয়েই শেখ হাসিনা যেন নোবেল পুরস্কার না পান সেজন্য তদ্বির করেন।
তবে গত দশ বছরে নোবেল শান্তি পুরস্কার যে শুধু শান্তির জন্য দেয়া হয় এমনটি নয় নানা রাজনৈতিক মেরুকরণে যারা পশ্চিমা দুনিয়ার কাছে আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত হন তাঁদেরকে এই পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।
সেইজন্যই শেখ হাসিনার নাম প্রতিবছর আলোচনায় এলেও তিনি নোবেল পুরস্কার পাবেন কিনা! সেটা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। তবে শান্তিকামী মানুষ মনে করে যে, সত্যিকার অর্থে বিশ্বের শান্তির জন্য যদি এখন কাউকে নোবেল পুরস্কার দেয়া হয় সেটা শেখ হাসিনাই।
কারণ ১১লাখ রোহিঙ্গাকে মানবিক কারণে আশ্রয় দিয়ে শেখ হাসিনা সারাবিশ্বে যে শান্তির বার্তা দিয়েছেন তা অনুকরণীয়।
কিন্তু শেখ হাসিনা নোবেল পুরস্কার পাওয়ার জন্য বিশ্বে কোন দেন দরবার বা লবিং করেন না। আর লবিং ছাড়া বিশ্বে এখন শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়া যেন এক অলীক স্বপ্ন।