নভেম্বর ২৫, ২০২৫
Bangla Online News Banglarmukh24.com
অন্যান্য অপরাধ প্রচ্ছদ

জেল হতে পারে ফরহাদ মজহার দম্পতির

শেখ সুমন

মিথ্যা তথ্য দিয়ে মামলা করার অভিযোগে কবি ও প্রাবন্ধিক ফরহাদ মজহার এবং তার স্ত্রী ফরিদা আক্তারের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশন মামলার আবেদন করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা। আবেদনটি মঞ্জুর হলে আইনানুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে মামলা হবে। আর এ মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাদের দু-জনের সর্বোচ্চ দুই বছরের জেল বা কারাদণ্ড হতে পারে। সাজা হলে আইনানুয়ায়ী কারাগারে যেতে হয় আসামিদের।

মঙ্গলবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মাহাবুবুল ইসলাম আদালতে ফরহাদ মজহার অপহরণ মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। মিথ্যা তথ্য দিয়ে মামলা করায় মামলার বাদী ফরিদা আক্তার ও মামলার ভিকটিম ফরহাদ মজহারের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ২১১ ও ১০৯ ধারায় মামলার আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।

 ফরহাদ মজহারের স্ত্রী মিথ্যা তথ্য দিয়ে মামলা দায়ের করেছেন। তদন্ত কর্মকর্তরা তদন্ত করে সেই প্রমাণ পেয়েছেন। মিথ্যা তথ্য দিয়ে অন্যদের হয়রানি করার অপরাধে তাদের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশন মামলার আবেদন করা হয়েছে। মামলার অনুমতি পেলে তাদের বিরুদ্ধে বিচারকার্য পরিচালনা হবে। আর অভিযোগ প্রমাণিত হলে ফরহাদ মজহার ও তার স্ত্রীর দুই বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে 

দণ্ডবিধির ২১১ ধারায় বলা হয়েছে,‘কোনো ব্যক্তি যদি অন্য কোনো ব্যক্তির ক্ষতি সাধনের উদ্দেশে অপরাধবিষয়ক মিথ্যা অভিযোগে মামলা দায়ের করে, তাহলে সে ব্যক্তির দুই বছর পর্যন্ত যে কোনো মেয়াদের কারাদণ্ড হতে পারে। আর দণ্ডবিধির ১০৯ হলো সেই অপরাধের সহযোগিতা করা।’

এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আবদুল্লাহ আবু বলেন, ফরহাদ মজহারের স্ত্রী মিথ্যা তথ্য দিয়ে মামলা দায়ের করেছেন। তদন্ত কর্মকর্তরা তদন্ত করে সেই প্রমাণ পেয়েছেন। মিথ্যা তথ্য দিয়ে অন্যদের হয়রানি করার অপরাধে তাদের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশন মামলার আবেদন করা হয়েছে। মামলার অনুমতি পেলে তাদের বিরুদ্ধে বিচারকার্য পরিচালনা হবে। আর অভিযোগ প্রমাণিত হলে ফরহাদ মজহার ও তার স্ত্রীর দুই বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে।

অন্যদিকে মামলার বাদী ফরিদা আক্তার জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমরা অনলাইন পত্রিকায় ফরহাদ মজহার অপহরণ মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিলের নিউজ দেখেছি। মামলার কোনো কাগজ এখনো হাতে পাইনি। কাগজ হাতে পাওয়ার পর আমরা সিদ্ধান্ত নেব আমরা কী করব।’

ফরহাদ মজহারের আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া বলেন, মামলার কাগজ হাতে পাওয়ার পর আমরা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।

ফরহাদ মজহারের আরেক আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ বলেন, আমরা মামলার বাদীর সঙ্গে কথা বলে চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি দেব।

উল্লেখ্য, গত ৩ জুলাই ভোরে রাজধানীর শ্যামলীর রিং রোডের ১নং হক গার্ডেনের বাসা থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হন ফরহাদ মজহার। পরে স্ত্রীকে নিজের মোবাইল ফোনে জানান, কে বা কারা তাকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে। তাকে মেরেও ফেলা হতে পারে। সন্ধ্যা পর্যন্ত ছয়বার কল করে ৩৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়।

নিখোঁজ হওয়ার সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাৎক্ষণিক উদ্যোগ নিয়ে মোবাইল ফোন ট্র্যাকিং করে তার অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হয়। ১৯ ঘণ্টা পর যশোরের অভয়নগরে হানিফ পরিবহনের বাস থেকে তাকে উদ্ধার করে পুলিশ।

ফরহাদ মজহারের নিখোঁজের ঘটনায় ওইদিন রাতেই স্ত্রী ফরিদা আক্তার বাদী হয়ে আদাবর থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। মামলা নং- ০৪। এর আগে তিনি জিডি করেছিলেন। জিডি নং- ১০১।

সম্পর্কিত পোস্ট

Playing online slot machines

admnlxgxn

The Ultimate Guide to Roulette Betting Free Spins

admnlxgxn

Gambling enterprises que Aceptan Neteller: Una Guía Completa

admnlxgxn

Online Gambling Establishment Listing: Your Ultimate Guide to Locating the most effective Gambling Websites

admnlxgxn

Pin‑Up KZ: скачиваем на Android и открываем мир азарта

admnlxgxn

Mostbet Hangi Ülkenin Casino Oyunları İle Eğlence Sunuyor?

Banglarmukh24