বরিশাল (সদর)-৫ আসনে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব ও বরিশাল মহানগর সভাপতি মজিবর রহমান সরোয়ারের মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার সময় ছাত্রদলের দু’পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে ছাত্রদলের কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
প্রতক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে বরিশাল (সদর)-৫ আসনের ধানের শীষের প্রার্থী বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব মজিবর রহমান সরোয়ার মনোনয়নপত্র জমা দিতে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমানের কার্যালয়ে যান। এ সময় তার সঙ্গে বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী ছিলেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে সিঁড়ি দিয়ে ওঠার সময় মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মাসুদ হাসান মামুনের সঙ্গে মহানগর ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাঈদ চৌধুরীর ধাক্কা লাগে। এনিয়ে তাদের মধ্যে বাদানুবাদের একপর্যায়ে ছাত্রদলের দুই পক্ষ মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে। মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মাসুদ হাসান মামুনের পক্ষ নিয়ে জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল রাঢ়ী ও ছাত্রদল নেতা রাহতসহ ২০ থেকে ২৫ জন নেতাকর্মী সাঈদ চৌধুরী ও তার সঙ্গে থাকা লোকজনদের বেদম মারধর করে। পরে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্য ও বিএনপির সিনিয়র নেতারা পরিস্থিতি শান্ত করেন।
মহানগর ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাঈদ চৌধুরী জানান, রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে সিঁড়ি দিয়ে ওঠার সময় মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মাসুদ হাসান মামুন ও জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল রাঢ়ী তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়ার চেষ্টা করেন। প্রতিবাদ করলে তারা মারধর শুরু করেন। এ ঘটনায় মাসুদ হাসান মামুন ও সোহেল রাঢ়ী ২০-২৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করবেন বলে জানান অ্যাডভোকেট সাঈদ চৌধুরী।
জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল রাঢ়ী জানান, সাঈদ চৌধুরী সিনিয়র নেতা সম্পর্কে কটূক্তি করছিল। এ কারণে ছাত্রদলের জুনিয়র কয়েকজন তাকে কিল-ঘুষি মেরেছে।
মহানগর পুলিশের কোতয়ালী মডেল থানার সহকারী কমিশনার (এসি) মো. রাসেল জানান , বিএনপি প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার সময় দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা শুনেছি। তবে এ বিষয়ে লিখিত কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।