শেখ সুমন :
ত্রিশটি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত বরিশাল সিটি কর্পোরেশন। আর এই সিটিকর্পোরেশনে বিগত পাচঁ বছরে যে উন্নয়নের ছোয়া লেগেছে তা জনমানুষের মুখে মুখে। একটি সড়ক পাচঁ বার মেরামত করেও ঠেকানো যায়নি গর্ত হওয়া। ঐতিহ্যবাহী বিবির পুকুর পাড়ের রেলিং এখন ভাংগারী দোকানের গুদামে। নগরী ছিল ব্যানার ও পোষ্টারের রাঝধানী। একশত বছরের বৃদ্ধর মতো নুয়ে পরেছিল বরিশাল।
অক্টোবর মাসের বাইশ তারিখে শপথ পরে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের দ্বায়িত্বভার গ্রহন করেন,বরিশাল মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক,যুবরত্ন সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ। শপথ নিয়ে আনুষ্ঠানিক দ্বায়িত্বভার গ্রহন করার প্রথম দিন তিনি বলেছিলেন যে,সকল ফুটপাথ দখল মুক্ত করবো। সকল সড়ক গুলো দখলমুক্ত করে যান চলাচলের উপযুক্ত করা হবে।
তিনি অক্টোবরের ত্রিশ তারিখ পর্যন্ত সময় বেধে দিয়েছিলেন সকল সড়ক মুক্ত করতে। আর নভেম্বরের এক তারিখ থেকে সিটি কর্পোরেশন ব্যাবস্থা নেবে। আর সেই জন্য এক তারিখ হতে না হতে সকল সড়ক ও ফুটপথ পরিষ্কার ও দখলমুক্ত করছে বৃহত ও ক্ষুদ্র ব্যাবসায়ীরা।
ইতিমধ্যেই দেখা গেছে ,লঞ্চঘাট,নথুল্লাবাদ,পলাশপুর,হাটখোলা,বাজার রোড,পোর্ট রোড, নতুন বাজার,বাংলা বাজার সহ নগরীর ব্যাস্ততম ব্যাবসায়ী এলাকা গুলির সড়ক এখন পরিষ্কার। গতকাল রাত থেকেই সকল ব্যাবসায়ীরা ছেড়ে দিচ্ছে দখল করা রাস্তাগুলো। এখন বরিশাল দেখলে মনে হয় এযেন এক নতুন বরিশাল।
ফুটপথ ও রাস্তা দখলমুক্ত থাকায় জনমনে সন্তষ্টি দেখা গেছে। নতুন মেয়রের কাজ দেখে জনগন নতুন সিটি হবে বরিশাল সেই স্বপ্ন দেখছে।